জুয়েল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : [২] নগরীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিক্রি করছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকা উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করণ ট্যাবলেট রেনিটিডিন। তাও “নিউসেপটিন আর ” এর নকল ঔষধ “নিউসটিন আর “।
[৩] রেনিটিডিন ওষুধের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গেল বছরের ২৯ সেপ্টম্বর থেকে বাজার থেকে এই গ্রুপের ওষুধ তুলে নিতে অধিদপ্তর এই ওষুধ সম্পর্কিত সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
[৪] ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রেনিটিডিনের বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। বিদেশে একাধিক গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন রেনিটিডিনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
[৫] অথচ বাজারে এখনো দেদারছে চলছে এ গ্রুপের ওষুধের রমরমা ব্যবসা। তাও আবার দামী কোন কোম্পানির তৈরি ঔষধ নয়। নাম না জানা সরকার নিষিদ্ধ কোম্পানির রেনিটিডিন ঔষধ এখন বিক্রি করছে দোকানিরা।
[৬] চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ এলাকায় জনবহুল স্থানে চৌধুরী ফার্মেসীতে হরহামেসাই মিলে এসব ভেজাল ওষুধ। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ওই দোকানের মালিক এলাকার জনগণকে খাওয়াচ্ছে মরণ নাশক এসব ওষুধ।
[৭] স্থানীয় এক ভুক্তভুগি অভিযোগ করলে সরেজমিনে হামজার বাগের চৌধুরী ফার্মেসীতে গিয়ে এসব ভেজাল ওষুধের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই দোকানি বলেন, কেউ সস্তা ঔষধ চাইলে তাকে এ ধরণের ঔষধ দেয়া হয়।
[৮] এব্যাপারে পাঁচলাইশ থানার ওসি তদন্ত সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয় প্রমাণিত হলে কোন ছাড় দেয়া হবেনা। ভেজাল ও নিষিদ্ধ কোন ঔষধ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে এটা একজন দোকানদারের কখনো উচিত নয়। অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :