চট্টগ্রাম প্রতিদিন প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট করছেন শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) থেকেই শ্রমিকদের একাংশ কাজ বন্ধ রেখেছেন। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) বলছে, কাজ বন্ধ করা হবে না। শ্রমিকদের ধর্মঘট ঠেকাতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রমিকদের অনেককে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ মিলেছে। অথচ ইতিমধ্যে সরকার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ বন্ধ রেখেছে।
৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে।
জানা গেছে, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত শ্রমিকরা এখনও মার্চ মাসের বেতন পায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তিন মাসের বেতন ও নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে লকডাউন দাবি করলে কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘গো হোম। নো মানি।’
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) থেকে মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকরা এলাকাটি লকডাউনের দাবি জানিয়ে তিন মাসের বেতন ও কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করার দাবি জানান। শুক্রবারও তারা কাজে যোগ দেননি। বর্তমানে সেখানে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। অনেক বিদেশি এই প্রকল্পে কাজ করছেন।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পর সরকার মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও সেটি মানছে না বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল)। ওই প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাতারবাড়ীতে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ হচ্ছে। সেখানে কোনো সমস্যা নেই। কাজ চলবে।’
সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মোত্তালিবও বলেছেন, ‘কাজ বন্ধ থাকবে না। কারণ সব ধরনের সামাজিক দূরত্ব মেনেই কাজ চলছে সেখানে। যদি বিদেশিরা কাজ চালিয়ে যেতে চায়, আমরা কেন মানা করতে যাব। কাজ চলবে।’
আপনার মতামত লিখুন :