রাশিদ রিয়াজ : [২] বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এ প্রতিবেদেনে বলা হচ্ছে কম করে হলেও ১৩ থেকে ৩২ শতাংশ বাণিজ্য হ্রাসের মূল কারণ হচ্ছে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়া। আরটি
[৩] সংস্থা মহাপরিচালক রবার্টো আজেভেডো করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে ‘কদাকার’ বললেও আশার বাণী শুনিয়ে বলেছেন আগামী বছর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে। তাই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বিশ্বনেতাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার আহবান জানান।
[৪] আন্তর্জাতিক শেয়ার বাজারে ধারাবাহিক দরপতন, শিল্পকারখানা বন্ধ, কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়া, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মত বিষয়গুলো ইতিহাসের বৃহত্তম অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা নিয়ে এসেছে কারণ দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক বিনিময় কমে এসেছে।
[৫] করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকাতে সরকারগুলো বিপুল অংকের অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে এবং এর ফলে বিশ্বে বাণিজ্য ও উৎপাদন হ্রাস পাবে যার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে ব্যাপকভাবে।
[৬] জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, করোনাভাইরাস মানব-সভ্যতাকে টার্গেট করেছে। এ ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ গঠনের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
[৭] বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ কোয়ারেন্টাইনে থাকায় অচল হয়ে পড়েছে পরিবহন ও পর্যটন শিল্প। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের যোগাযোগ ও সমাবেশ আরও বেশ কিছুকাল বন্ধ রাখতে বাধ্য হবে বিশ্ব। অর্থনৈতিক তৎপরতা হবে খুবই সীমিত।
[৮] স্বাস্থ্য-সুরক্ষার নিরাপদ ব্যবস্থা বজায় রাখার পাশাপাশি করোনার প্রতিষেধক টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার করে ও বিপুল পরিমাণে উৎপাদন বাড়িয়ে এবং সরকার ও বিত্তবানদের পক্ষ থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে কেবল কঠিন এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :