মঈন উদ্দীন, রাজশাহী প্রতিনিধি : [২] জেলার কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে বন্দী রয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৪০০। অথচ কারাগারে ধারণক্ষমতা মাত্র ১ হাজার ৪৫০ জন। অর্থাৎ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি বন্দীকে ঠাসাঠাসি করে কারাগারে রাখা হচ্ছে।
[৩] কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ঝুঁকি বাড়ছে কারাগারে। ফলে পরিস্থিতি বিবেচনায় ৫০০ কয়েদিকে মুক্তি দিতে সুপারিশ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কারা অধিদফতরে এ তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন।
[৪] তিনি জানান, তালিকার বেশিরভাগই সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। কারও কারও সাজার মেয়াদ শেষ। তালিকায় বিচারাধীন মামলার মাত্র ১৬ জন হাজতি রয়েছেন। তারা ৫১ ও ৫৪ ধারায় গ্রেফতার। পুলিশ অধ্যাদেশে গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনও রয়েছেন। লঘু অপরাধের মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই তারা বন্দি। তবে তালিকায় হত্যা, ধর্ষণ, এসিড মামলার সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি বা আসামিদের রাখা হয়নি।
[৫] সিনিয়র জেল সুপার আরও বলেন, ৩০ বছর কারাদণ্ডকে যাবজ্জীবন সাজা ধরা হয়। কারাগারে কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়লে ২২ বছরের মতো বন্দী থাকলে যাবজ্জীবন সাজা খাটা শেষ হয়ে যায়।
[৬] রাজশাহী কারাগারে ১২৮ জন বন্দী আছেন, যাদের সাজার মেয়াদ শেষ অথবা ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী আছেন। মুক্তির জন্য তালিকায় রাখা হয়েছে তাদের নাম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ