ডেস্ক রিপোর্ট : [২]করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে টাঙ্গাইলে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে পৌর এলাকায় অকারণে বাইরে ঘোরাফেরা করা লোকজনের ওপর কঠোর হতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে। রাস্তা ঘাট ও বাজারে ঘোরাফেরা করা কিংবা জটলা পাকানো অনেককেই লাঠিপেটা ও কান ধরে উঠবস করান তারা। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আমিনুর রহমান আমিনসহ কয়েকজনকে লাঠি হাতে পেটাতে দেখা যায়। সূত্র- পিপিবিডি
[৩]এ বিষয়ে আমিনুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করছে। কিন্তু টাঙ্গাইলে কেউ কেউ প্রশাসনের কোনো নির্দেশনাই মানছে না। মানুষকে কোনোভাবেই ঘরমুখী করা যাচ্ছে না। অপ্রয়োজনের ঘোরাফেরা করা মানুষ ভয়ভীতি দেখানোর জন্যই আমরা কঠোর হয়েছি।’ এ সময় তার সঙ্গে পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুজ্জামান খান সোহেল, চেম্বার অব কমার্স টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খান আহমেদ শুভ, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক হোসেন মানিকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছিলেন।
[৪]স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলাকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শহরে কোনো প্রকার ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ভ্যান বা সব প্রকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ওষুধ, খাদ্য পণ্যবাহী যানবাহন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, সংবাদকর্মীরা এ সিদ্ধান্তের আওতার বাইরে থাকবে। সভা শেষে সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম শহরের ব্যস্ততম পার্কবাজার পরিদর্শন করেন এবং বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কাঁচা বাজার পার্শ্ববর্তী ঈদগাহ ময়দানে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[৫]এ সময় বিভিন্নস্থানে অপ্রয়োজনে ঘুরাফেরা করা মানুষদের বাড়ি ফিরে যেতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সর্তক করা হয়। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংও করা হয়। প্রশাসনের সতর্কতা উপেক্ষা করেই মানুষকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এরমধ্যেই টাঙ্গাইল পৌরসভা, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স, শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে শহরে ঝটিকা অভিযান চালানো হয়। এ সময় অকারণে ঘরের বাইরে বের হওয়া ব্যক্তিদের লাঠি দিয়ে পেটানো ও কান ধরে উঠবস করানো হয়।
[৬]সাধারণ মানুষকে লাঠিপেটার বিষয়ে জানতে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশরফ হোসেন বলেন, ‘আমরা ফেসবুকে এই ঘটনা দেখেছি। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দুপুরের দিকে লাঠিপেটার এই ঘটনা ঘটলেও বিকেল চারটা থেকে লকডাউন কার্যকর হওয়ার পর থেকে শহরে লোক সমাগম খুবই কম। শহরের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বাসিয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।
আপনার মতামত লিখুন :