আনিস তপন : [২] গত ২৭ মার্চ শুক্রবার বিকেলে যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার চিনাঢোলা বাজারে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা না মানায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করে সেই ছবি নিজ মোবাইলে ধারণ করেন সমালোচনার মুখে পড়েন সহকারি কমিশনার সাইয়েমা হাসান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছকে আহবায়ক করে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ। তদন্ত কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
[৩] এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবুল লাইছ জানান, এই মূহুর্তে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠ প্রশাসন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব মোকাবেলায় সর্ব শক্তি নিয়োগ করেছে। পাশাপাশি তদন্ত কাজও চলমান রয়েছে। তাই তদন্ত প্রতিবেদনটা দিতে একটু সময় লাগছে। সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান এবং যেসব সিনিয়র সিটিজেনকে নির্যাতন বা অপমান করা হয়েছে তাদের সঙ্গেও কমিটির প্রাথমিক আলাপ হয়েছে। তবে আবারও তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
[৪] এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, তদন্ত চলছে। তাই বিচারাধীন বা তদন্তাধীন বিষয়ে এখনই কোনো কথা বলা ঠিক হবে না।
[৫] এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিরোধমূলক অনেক ব্যবস্থা নেয়া সত্বেও এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে। প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন জনগণকে রক্ষা করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মাঠ প্রশাসন এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি দু:স্থ্যদের ত্রাণ সহায়তা দিতে ব্যস্ত রয়েছে। এরমধ্যেও অভিযুক্ত এসিল্যাণ্ডকে তাৎক্ষণিক একটা শাস্তি দেয়া হয়েছে। আর করোনার কারণে মাঠ প্রশাসন অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি যে শাস্তি থেকে মাফ পেয়ে যাবেন ব্যাপারটি তা নয়। যথা নিয়মেই ঘটনার তদন্ত হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। একারণে আশা করছি অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :