শাহীন খন্দকার: [২] চলতি মাস বাংলাদেশের জন্য ঝুকিঁপূর্ণ সময় যাচ্ছে, আমরা এখন লকডাউন অবস্থায় আছি। মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ সি.এম.এইচ.ডি (কেন্দ্রীয় ওষুধাগার) ভবনে অ্যাম্বুল্যান্স গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের অনেকেই সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) ছিলেন, এখনও অনেকে আছেন।
[৩] প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী উদ্যোগের কারণেই আমাদের দেশ কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভালো। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যেও ৯ লাখ মানুষ বাইরে থেকে এসেছেন। তার পরেও আমরা ভালো আছি। এপ্রিলমাসটা খুব ক্রিটিকাল, এই মাসে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
[৪] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেসব এলাকায় বাড়িতে করোনা রোগী আছে সেগুলোর দিকে বেশি করে লক্ষ্য রাখতে হবে।
[৫] আমরা টেস্টিং বাড়াচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে ১৭/১৮ টি ল্যাব শুরু করেছি। আগামীতে আরো ১০টি ল্যাব চালু হবে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে টেস্টিং যেন ভালো হয়, আরো বেশি সংখ্যক টেস্টিং যেন হয়। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, আর তাদের আশপাশে যারা আছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবে পাঠাবেন।
[৬] স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রথম হাতিয়ার সংক্রমণ রোধ করা। তাহলে বিপদ থেকে আমরা ঘুরে দাড়াতে পারবো। এসময়ে তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ও জাপানে নতুন করে আবার লককডাউন করেছে। আমরাতো লকডাউনের মধ্যেই আছি।
[৭] আমাদের লকডাউন আরো কার্যকর করতে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। এমনকি মসজিদের কয়জন নামাজ পড়বে তাও তিনি ঠিক করে দিয়েছেন। সৌদি আরবের মসজিদতো অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছে, তারা কারফিউ জারি করেছে। আমাদের দেশের মানুষ কখন বাজারে যাবে সে সময়ও প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :