মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাস সংক্রোমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এ সময়ে ব্যাংকের শাখাগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৩] তবে শাখা পর্যায়ের ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এ নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছেন অনেক ব্যাংক কর্মকর্তরা।
[৪] ব্যাংকার্স ফ্যামিলি নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে আসাদুজ্জামান আসাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, আমাদের একটা সংগঠন দরকার। সংগঠনের মাধ্যমে আমরা সবাই এক হতে পারবো। প্রতিবাদ করতে পারবো।
[৫] গ্রুপে জাহেরুল ইসলাম নামের একজন লিখেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন দিতে বিনা সুদে ঋণ ব্যবসায়ীদের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে। কিন্তুু যে ব্যাংকারদের মাধ্যমে এসব কাজ বাস্তবায়ন হবে, যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অফিস করছেন। তাদের জন্য কি ঝুঁকি ভাতা চালু হবে?
[৬] অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো তাদের মতো করে কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিভিন্ন সময় সুযোগ সুবিধা দিতে পারেন। আমরা সরকার নির্ধারিত নিয়মের বাহির যেতে পারি না।
[৭] তিনি বলেন, যেখানে ডাক্তারদের কোনো ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা নেই সেখানে আমরা কি করে পাবো? তবে প্রত্যেকটা শাখায় করোনা সংক্রোমণ রোধে বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
[৮] মার্কেন্টাইল ব্যাংকের জন জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হামীদ সোহাগ জানান, আমাদের ব্যাংকে বর্তমানে যারা ডিউটি করছেন তাদের জন্য বিশেষ ভাতা রয়েছে। এ ছাড়া কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয় তার চিকিৎসা ব্যয় অফিস বহন করবে।
[৯] জানা যায়, প্রথম দফায় ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা ছিল। দ্বিতীয় দফায় ৫ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
আপনার মতামত লিখুন :