[১] করোনার প্রভাবে প্রাণহীন ঢাবি’র টিএসসি [২] মনে হয় যুদ্ধ বিধ্বস্ত কোনো এক অচীন ক্যাম্পাস
এস.ইসলাম জয় : [৩] এ শহরে আনাগোনা নানা শ্রেণীপেশার মানুষের। দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসতেন জরুরী কোনো না কোনো প্রয়োজনে। সময় হলে এক নজর দেখে যেতেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী টিএসসি ক্যাম্পাস।
[৪] কেননা এখানে রয়েছে বিভিন্ন সংগঠনের অফিস কক্ষ। গ্রিস দেশের আখড়ায় যেমন আড্ডা হতো দর্শনের,সেখানে চর্চা হতো মনের। এখানেও মনের চর্চা হয়। চর্চা হয় দর্শন, শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতির। চলে যুক্তি, তক্কো আর গপ্পো।
[৫] টিএসসিতে এক কাপ চা না খেলেই যেন নয়। গল্পে গল্পে কতটা অলস সময় পার হয়ে যেত সে হিস্যা অনেকেরই থাকত না।
[৬] কাক ডাকা ভোর থেকে রাত অবধি মুখরিত থাকত এ ক্যাম্পাস। শুধু শিক্ষক-শিক্ষার্থীই নয় ছিল বহুমুখী মানুষের পদচারনা। ছিন্নমুলদেরও অভয়ারণ্য আশ্রয়স্থল ছিল এ ক্যাম্পাস। রিক্সাওয়ালারাও ঢাকার অন্য কোনো জায়গায় না যেতে চাইলেও টিএসসিতে যাওয়ার বিষয় অমত প্রকাশ করতেন না।
[৭] কিন্তু আজকের গল্পটি ভিন্ন। বেসামাল করোনা পরিস্থিতির আগের অবকাঠামোগত মিল ঠিকই আছে। শুধু মিলছে না আজকের প্রাণের অস্তিত্ব। কেউ যেন চিনছে না আজ এ ক্যাম্পাস। চিরচেনা রুপ নেই এখানে। সবাই অজানা আতঙ্কে আছে। মনে হয় গুপ্তঘাকত পিছু ছুটছে। জন মানব শূন্য পুরো ক্যাম্পাস। এরকম চিত্র কখনোই দেখা যায়নি আগে। ভিসির বাসভবন আর হল গুলোতে নিরাপত্তাকর্মীরা পাহারা দিচ্ছে। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় ক্যাম্পাস এলাকাতে যারা বাস করেন শুধু তারাই মাঝে মধ্যে জরুরী প্রয়োজনে বের হচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার বিরুপ প্রভাব পড়েছে পুরো ক্যাম্পাসে।
[৮] উল্লেখ্য, করোনার মহামারি ঠেকাতে আজ থেকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া রাজধানীতে বাহির এবং প্রবেশে নিষেধাঞা আরোপ করেছে প্রসাশন।
আপনার মতামত লিখুন :