ইয়াসিন আরাফাত : [২] রোববার আমেরিকার নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষদিকে চিনের উহান প্রদেশে যখন করোনাভাইরাস প্রথম ছড়িয়ে পড়েছিলো সেসময় উহান প্রদেশ সহ চীনের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন নাগরিক বিমানে করে আমেরিকা এসেছিলেন।
[৩] চীন সেসময় ভাইরাস সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য চেপে যাওয়ায় প্রায় ১৩০০ বিমান উহান থেকে আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটের প্রায় ৪৩হাজার যাত্রী নিয়ে সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবতরণ করেছিলো। যাদের মধ্যে লস আঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিকো, নিউ ইয়র্ক সহ আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তের বসবাসকারী বাসিন্দারা ছিলেন। কোনও রকম থার্মাল স্ক্রিনিং বা অন্য কোনও ধরনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই তাদের দেশে প্রবেশ করানো হয়েছিলো।
[৪] দেশটির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই কয়মাসে চীন ও আমেরিকার মধ্যে যাতায়াতকারী বিমানের ৬০% চিনের এয়ার লাইন্স।
[৫] গত ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার মানুষ চীন ও আমেরিকা এই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছে। যদিও তখনও ভাইরাস সংক্রান্ত গোটা বিষয়টি চীন বিশ্ববাসীর সামনে পরিষ্কার করে তুলে না ধরায়, আন্তর্জাতিক পরিবহণের ক্ষেত্রে তখনও কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি আমেরিকা। রয়টার্স
[৬] মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে গত জানুয়ারিতে আমেরিকায় আগত ওই ৪ লক্ষ ৩০ হাজার যাত্রীদের ডাটা সংগ্রহ করে তাঁদের খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে তারা। দ্যা গার্ডিয়ান
[৭] ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজারের বেশী নাগরিকের। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬১০ জন। এছাড়া সংক্রামিত হয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৫০ জন মানুষ। যেহারে এই ভাইরাস দেশটিতে ছড়াচ্ছে তাতে মৃত্যুর নিরিখে চীন সহ অন্যান্য দেশগুলিকে ছাপিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :