সাইদ রিপন: [২] এই দুর্দিনে কয়জনকে অন্য দেশ থেকে ফেরত আনতে আমরা বসেছিলাম। বুঝে শুনে বাস্তবতার নিরিখে পদক্ষেপ নেয়া হবে। রোববার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।
[৪] তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন দেশকে চিঠি দিয়ে বলব, আমাদের অসুবিধা, তোমাদেরও অসুবিধা। মানবাধিকার বিষয়টি সামনে এনে এদের তোমরা সাহায্যে করেছ আরও সাহায্যে কর। তবে খুব বেশি দেশ প্রবাসীদের ফেরত পাঠাতে আবেদন করেনি।
[৫] ইতোমধ্যেই মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে ফোন করে বলেছেন তার দেশে বিপুল বাংলাদেশি কর্মী আনডকুমেন্টেড। এখন যেহেতু তাদের পর্যটন বা রেস্টুরেন্টে কাজ করছে না তাই শুধু বৈধদের তারা সাহায্যে করছে। কিন্তু যারা আনডকুমেন্টেড আছে তাদের কষ্ট হচ্ছে। মালদ্বীপ সেখানে বিদেশি কর্মীদের নিবন্ধন করতে বলেছে। এদের মধ্যে অনেককেই ফেরত পাঠাতে পারে তারা।
[৬] এর আগে গত শনিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তাদের অর্থায়ানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো সব ঠিক রেখে প্রয়োজনে দ্বিগুণ-তিনগুণ লোকবল দিয়ে প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
[৭] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা সংকটের কারণে অস্থিতিশীল বিশ্ব প্রেক্ষাপটে চীনের বিকল্প খোঁজার পদক্ষেপ ব্যয়বহুল, অসম্ভব ও অপ্রয়োজনীয়। বাংলাদেশের স্বাভাবিক উন্নয়ন কাযক্রম অব্যাহত রাখতে চীনকেই সহযোগিতা করা উচিত। এ মুহূর্তে দেশে চীনের প্রায় ৮ হাজার জন বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছেন। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত এক হাজার লোককে আপাতত বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের বাংলাদেশে ফিরে না আসায় কয়েকটি প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হতে পারে। তবে এর বিকল্প সব ভেবে রেখে চীন।