আসিফুজ্জামান পৃথিল : [২] এক গবেষণা বলছে, প্রায় সব ককেশিয় পুরুষকে জীবনের এক পার্যায়ে কোনও না কোনও ধরনের টাক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রায় অর্ধেকই জীবনের মধ্যভাগে এসে অর্ধেক চুল হারান। এশিয়ান পুরুষ বিশেষত পূর্ব এশিয়ানরা ঐতিহাসিকভাবে এই সমস্যামুক্ত। সিএনএন
[৩] ২০০৩ সালে ৬টি চীনা শহরে চালানো এক গবেষণা বলছে, ৩ শতাংশের কম চীনা ১৮-২৯ বছরে, ১৩ শতাংশ ৩০ এর মধ্যে সামান্য টাক সমস্যায় ভোগেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় চালানো একটি গবেষণা বলছে তাদের পুরো পুরুষ জনসংখ্যার ১৪.১ শতাংশ টাক সমস্যায় ভোগে। জাপানের ক্ষেত্রেও অবস্থা প্রায় একই।
[৪] তবে এশিয়ান পুরুষদের সুদিন হারাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো জীবনযাপনে পরিবর্তন। কাজের চাপ, বাজে খাবার, ঘুমের কমতি এবং ধূমপান। যার প্রভাব পড়ছে পরবর্তী বংশধরদের উপরেও।
[৫] চীনের স্বাস্থ্য দপ্তর ৫০ হাজার তরুণ চীনার উপর সম্প্রতি টাক নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। এটির ফল বলছে দেশটির ৩০ এর আশেপাশে যাদের বয়স তারা অন্যদের চেয়ে দ্রুত চুল হারাচ্ছেন।
[৬] চীনে চুলের যত্ন সম্পর্কিত পণ্যের বাজারও দ্রুত বড় হচ্ছে। বর্তমানে এ ধরনের পণ্যের বাজার ২৯০ কোটি ডলারের। যা বিশ্বে অন্যতম বৃহৎ।