ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি: [২] ঈশ্বরদী পৌর শহরের আলীবর্দী সড়কের নিজ বাসভবনের সামনে বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বিকেলে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাবেক ভূমি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
[৩] জানাজার আগে পুলিশের ১৭ সদস্যের একটি দল পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদের নেতৃত্বে শামসুর রহমান শরীফের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায়। তাঁরা এই মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেন। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম শেষ স্যালুট জানান তাঁকে।
[৪] তাঁর জানাজায় অংশ নেন- পাবনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি নাদিরা ইয়াসমিন জলি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবির ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী, পরিবারের সদস্য, আওয়ামী লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা–কর্মী ও রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাধারী ব্যক্তিরা।
[৫] এরপর শামসুর রহমান শরীফের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পাবনা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, সংসদ সদস্য ও ঈশ্বরদী উপজেলা প্রশাসন। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাঁর মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর জন্মস্থান লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে। এরপর এখানে তিনটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় ঢাকা থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে পৌর শহরের আলীবর্দী সড়কের নিজ বাসভবনের নেওয়া হয়। লাশবাহী এম্বুলেন্সটি দেখার পরই অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। লাশ বাহিরে আনার পর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের ভিড় সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ তৎপর দেখা গেছে। সেখানে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে আসেন আত্মীয়-স্বজন, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তিনি মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
আপনার মতামত লিখুন :