মুসা কলিম মুকুল : ভারতে ৩১ মার্চ করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা শনাক্ত হলো একশ’র কিছু বেশি। ১ এপ্রিল আচমকা নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ঘোষিত হয় ছয়শ’র উপরে। করোনা কি রাজনীতি মানে? হয়তো না। ঠিক এই সময়ে বিজেপি দিল্লির নিজামউদ্দিনে তাবলিগ জামাতে কয়েকশ লোকের সমাবেশ নিয়ে হৈচৈ করছিলো। সে সমাবেশ ছিলো মার্চের প্রথমার্ধে। সেই সমাবেশের কিছুদিন পর লকডাউন ঘোষিত হয়। করোনা সেই সমাবেশ হতেও ছড়িয়েছেÑ সে কথা বিলক্ষণ সত্য। তবে ভারতে করোনার বিস্তারে মুসলিমরাই একমাত্র দায়ী এমন তো নয়।
‘সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই’Ñ এমন ধারা বিধান আধুনিক বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত নয় এবং দেখা যাচ্ছে মুসল্লিরা নিজেরা ওই সমাবেশ হতে অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন। এই নিয়ে যখন বিজেপি হৈচৈ করছে (এটা কি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির তুরুপের তাস?) জনগণ যৌক্তিকভাবে দুষছে মুসল্লিদের, তখনই একদিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে ছয়শ ছাড়াল। তাবলিগে করোনা নিশ্চয় ছড়ায়, আরব দেশে ওমরাহ এবং জুমা তো আর সাধে বন্ধ হয়নি। কিন্তু ভারতে করোনা ছড়ানোর পেছনে আরও গুরুতর দায় আছে টেস্টিং কিট, ডাক্তারদের সুরক্ষা-আলখেল্লা ইত্যাদির অভাব এবং লকডাউন ম্যানেজমেন্টে গরিবদের যথানিয়মে খাদ্য পৌঁছে দিতে না পারার ব্যর্থতা। এ সব রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতে অনেক দেশেই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কম দেখানো হয়।
অথচ ভারতে তাবলীগ সংক্রান্ত হৈচৈয়ের মুখে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়াটা দারুণ একটা রাজনৈতিক সুযোগ এনে দিয়েছে সাম্প্রদায়িক ঘৃণাজীবীদের জন্য। এর সুফল কতোদিন পাওয়া যাবে? নিশ্চিত করে বলা যায়- বেশি দিন নয়। ২১ দিন লকডাউনের ধাক্কা কাটানোর জন্য অনেক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দরকার। সে সব কোথায়? দুর্ভিক্ষ কিন্তু খাদ্যের অভাবে হয় না, দুর্ভিক্ষ হয় রাজনৈতিক খাসলতে। সে রাজনীতিকে আসামির কাঠগড়ায় তোলবার সময় এসে পড়লো বলে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :