ইসমাঈল আযহার : [২] পার্থিব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্বাভাবিক ব্যাপার হচ্ছে দুঃখ, দুঃশ্চিন্তা ও পেরেশানী। কারণ, দুনিয়া কষ্ট, মুসিবত ও সঙ্কটপূর্ণ স্থান। দুনিয়া এবং জান্নাতের মধ্যে পার্থক্য এখানেই। জান্নাতে নেই কোন দুঃখ, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা।
[৩] আল্লাহ তাআলা বলেন, 'সেখানে তাদেরকে ক্লান্তি স্পর্শ করবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিষ্কৃতও হবে না।' ( সূরা হিজর : ৪৮)
[৪] জান্নাতবাসীদের অন্তর কখনো কলুষিত হবে না এবং কষ্টদায়ক কোন শব্দ তাদের কানে পৌঁছবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'তারা সেখানে শুনতে পাবে না কোন বেহুদা কথা, এবং না পাপের কথা; শুধু এই বাণী ছাড়া, 'শান্তি, শান্তি।' ( সূরা ওয়াকেয়া : ২৫-২৬)
[৫] পক্ষান্তরে দুনিয়াবী জীবনের প্রকৃতি হচ্ছে, দুর্ভোগ, যন্ত্রণা ও অসচ্ছলতা। কী গরীব, কী ধনী; কী মুসলিম, কী অমুসলিম; সবাই এর ভুক্তভোগী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, 'নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্ট-ক্লেশের মধ্যে।' ( সূরা বালাদ : ৪)
[৬] মূলত মানুষ অতীত নিয়ে দুঃখিত, ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং বর্তমান নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।চিন্তা, পেরেশানী ও মুসিবত দূর করার জন্য বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার করা এবং আল্লাহর নিকট নিজেকে সম্পূর্ণ সপে দেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।' (সূরা গাফের : ৬০)
[৭] আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, 'জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণ দ্বারাই অন্তরসমূহ প্রশান্ত হয়।' ( সূরা রাদ : ২৮)
আপনার মতামত লিখুন :