আজহারুল হক, ময়মনসিংহ: [২] ময়মনসিংহের নান্দাইলে পবিত্র কোরআন শরিফ অবমানার অভিযোগে এক পল্লী পশু চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া পল্লী চিকিৎসকের নাম লক্ষণ চন্দ্র সিংহ (৪৮)। তিনি উপজেলার সিংরইল শিং পাড়া গ্রামের মাখন চন্দ্র সিংয়ের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে ওই গ্রামে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
[৩] আজ মঙ্গলবার স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন ঘটনাস্থলে গিয়ে সকলকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন।এর আগে গতকাল সোমবার গভীররাতে পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[৪] জানা যায়, বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে গরুর চিকিৎসা ছাড়াও লক্ষণ কবিরাজি চিকিৎসা করে থাকেন। স্থানীয় লোকজন জানান, লক্ষণ পশু চিকৎসার পাশাপাশি দিলালপুর বাজারের নির্জন স্থানের একটি ঘরে বসে নারীদের কবিরাজি চিকিৎসা করেন। বাজারের পল্লী চিকিৎসক মো. নুরুল ইসলাম জানান, এক নারী রোগী চিকিৎসা শেষে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোরআন অবমানার অভিযোগ তোলে। অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসী গিয়ে তার সত্যতাও পান। এর পরেই ওই লক্ষনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জনতা।
[৫] প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, হাজারো লোক লক্ষণের ফাঁসি দাবি করে চারপাশ থেকে স্লোগান দিচ্ছিল। এরই মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ দিলালপুর বাজারে এসে কৌশলে লক্ষণকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় লক্ষণের দোকানটি ভাঙচুর করা হয়। দিলালপুর বাজার থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত লক্ষণের বসতঘর ও তাঁর কাকা রতন চন্দ্র সিংহর বসতঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
রতন জানান, তিনি মিষ্টির ব্যবসা করেন। লক্ষণ অপরাধী হলে তাঁর বিচার করা হউক। কিন্তু আমি তো কোনো দোষ করিনি। তাহলে আমার সহায় সম্বল আগুন কেন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হলো।
বাজারের একটি বিপণি বিতানের ব্যবস্থাপক মো. রাজন জানান, লক্ষণ তাঁর মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রাণী চিকিৎসার পাশপাশি নারীদের নিয়ে বিতর্কিত চিকিৎসায় লিপ্ত ছিলেন। পরে তিনি লক্ষণকে বিপজ্জনক ব্যক্তি মনে করে তাঁর মার্কেট ছাড়তে বলেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ওসি মনসুর আহাম্মদ জানান, ঘটনার সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লক্ষনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :