সাইদ রিপন : [২] বাংলাদদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপ অনুযায়ি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে ড্রাগন ফলের উৎপাদন ছিল না। কিন্তু ২০১৮-১৯ অর্থবছররে দেশে ৩৫ টন ড্রাগন উৎপাদিত হয়েছে। দেশের সব বিভাগে এখনও ড্রাগন চাষ শুরু হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিএসের রিপোর্টে।
[৩] রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে মূলত স্বল্প পরিসরে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। বাংলাদেশের নীলফামারি জেলায় সব থেকে বেশি ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। এই জেলায় বর্তমানে উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৮ টন। এরপরেই পঞ্চগড়ে ৪ ও দিনাজপুরে ৩ টন ড্রাগন বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন হয়েছে।
[৪] অন্যদিকে মেহেরপুর ও ফরিদপুর জেলায় স্বল্প পরিসরে ড্রাগন উৎপাদিত হচ্ছে। একটি পূর্ণবয়ষ্ক ড্রাগন গাছ ৫০ থেকে ১০০টি ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি ফল ২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে। দিনাজপুরে ১৪ হাজার ১০৫টি, নীলফামারিতে ১৮ হাজার ৫৮২টি ও পঞ্চগড়ে ১ হাজার ৪৩০টি ড্রাগনের গাছ রয়েছে।
[৫] এ বিষয়ে বিবিএসের যুগ্ম পরিচালক এস এম কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দেশে অনেক বিদেশি ফল চাষ করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই আমাদের দেশে দিনদিন ড্রাগন ফলের চাষ বাড়ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যেখানে ড্রাগনের উৎপাদন শূণ্য ছিলো সেখানে পরের অর্থবছরেই উৎপাদন বেড়েছে। প্রতি বছরেই এ ফলের উৎপাদন বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :