সুজন কৈরী : [২] রাজউক উত্তরা হাউজিং কমপ্লেক্সের ১১/ডি নম্বর ভবনের ১৩০৫ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে সোমবার নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের ফাইন্যান্সার মুহিব মুশফিক খানকে আটক করেছে র্যাব-২। তার কাছ থেকে ১৩টি উগ্রবাদী বই, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ট্রেনিং ম্যানুয়েল, ২টি মোবাইলসহ সহযোগী জঙ্গি সদস্যদের অনলাইনে অর্থ লেনদেনের প্রমাণাদি উদ্ধার করা হয়।
[৩] মুহিব ধর্ম ভীরু ও সহজ সরল যুবতীদের টার্গেট করে উগ্রবাদী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাসহ নাশকতা সৃষ্টিতে উদ্ভুদ্ধ করে দেশের আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট, জনসংহতি, নিরাপত্তা ও জনমনে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে জানিয়েছে র্যাব।
[৪] র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ও ১৩ এবং ২৮ ফেব্রæয়ারি মুন্সিগঞ্জ, সিলেট ও পাবনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলাম বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আত্মঘাতী ৬ সদস্য আবু রায়হান লিমন, সাইফুল্লাহ নাঈম, নাবিল চোকদার, শাফাত আহাম্মদ চৌধুরী, সাকিব আল ইমতিহান ও নাজমুস সাদাত ফাহিমকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও মামলার তদন্তকালে মুহিব মুশফিকের বিষয়ে জানা যায়। এরপর থেকেই তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। একপর্যায়ে অবস্থান নিশ্চিত হবার পর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
[৫] র্যাবের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, অভিযানকালে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইস থেকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা ও তার সহযোগী সদস্যদের অর্থ সহযোগীতার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জার গ্রæপের মাধ্যমে তারা জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছিল। মুহিব তার সহযোগীদের অর্থ দেয়ার মাধ্যমে উৎসাহ যুগিয়ে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।
[৬] গত ৩০ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ সদর থানার দায়ের হওয়া মামলার এজাহার নামীয় আসামী হওয়ায় মুহিবকে আদালত সোপর্দ করা হবে।