তরিকুল ইসলাম : [২] রায়টা যথার্থ ও পজিটিভ প্রভাব ফেলবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, দুষ্ট লোকেরা সব খানেই থাকে, তাদেরকে দেশবাসীর চিহ্নিত করা উচিত।
[৩] আমাদের প্রতিবেদকের সঙ্গে টেলিফোনে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমি ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়েছি এবং বলেছি এখন আমাদের অফিস বন্ধ, কার্যক্রম শুরু হলে অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বার্তা পাঠানো হবে।
[৪] রানা প্লাজা ধসের ঘটনার পর কিছু লোক এ সেক্টর নিয়ে সামাজিক মাধ্যম ও পত্রিকায় নেগেটিভ লেখালেখি করেছে। তারা এমন ভাব করেছে । যেন, দুনিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশে খারাপ অবস্থা রয়েছে।
[৫] এ সেক্টরে পৃথিবীর ১০টি শ্রেষ্ঠ দেশের ন্যায় সিকিউরিটি, ইকো ও পরিবেশের বন্ধুত্বপূর্ণ মান বজায় রাখছে বাংলাদেশ।
[৬] পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে আমেরিকা, নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়ার ফ্যাক্টরিগুলো ঘুরে দেখেছি। বাংলাদেশের বেশকিছু গার্মেন্টস পরিদর্শন করার পর তাজ্জব মনে হয়েছে। অথচ এতো ভালো অবস্থা বিদেশেও নেই।
[৭] তিনি বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে আমরা আরো উন্নত করতে চাই। যেখানে এখনও দুর্বলতা রয়েছে, বিশেষ করে যেখানে শ্রমিকেরা ঠিকভাবে মজুরি পাচ্ছে না। সেখানে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে সেটা শিল্পকে ধ্বংস করে নয়।
[৮] বাংলাদেশের গার্মেন্ট সেক্টর নিয়ে যেভাবে ঢালাও ভাবে অভিযোগ করা হয়, সেটা সমচীন নয় বলেও জানান মিষ্টার মোমেন।
[৯] গত ২০১৬ সালে ইইউ’র ন্যায়পাল অফিসে বাংলাদেশের শ্রমমান নিয়ে প্রশ্ন তুলে শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা চারটি সংগঠন জিএসপি সুবিধা বাতিলের আবেদন জানায়।
[১০] গত ২৪ মার্চ ইইউ’র ন্যায়পাল অফিস বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, ‘শ্রম পরিবেশ ইস্যুতে ন্যায়পাল কার্যালয়ের তদন্তে বাংলাদেশের তেমন কোনো ক্রটি পাওয়া যায়নি।
[১১] ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়নে যেসব পদেক্ষপ নিয়েছে এবং যেভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছে, তা ঠিক আছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে ইউরোপীয় কমিশন নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :