ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্কে ফাঁকা রাজধানীর রাস্তা। এ সুযোগে উঠতি বয়সী তরুণ ও যুবকরা মোটরবাইক ও প্রাইভেটকার বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে। এছাড়া পেশাদার চালকরাও যোগ দিচ্ছে এ কাণ্ডে।
[৩] গত রোববার রাতে বেগম রোকেয়া স্মরনী সড়কে বেপরোয়া বাইক চালাচ্ছিলেন দুই যুবক। শেওড়াপাড়া ওভারব্রীজের নিচে একটি ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারাত্মক আহত হন বাইক চালক ও আরোহী। এসময় পেছন থেকে আসা আরো একটি বাইকও সজোরে ধাক্কা দেয় সামনের বাইককে। এ ঘটনায় ভানচালকসহ চারজন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
[৪] এছাড়া একই সময়ে ধানমন্ডি এলাকায় বেপরোয়া গতিতে একটি প্রাইভেট কার চালাতে দেখা গেছে। তবে কোনো দুর্ঘটনার শিকার হয়নি গাড়িটি। পথচারী ও অন্য গাড়ির যাত্রীরা ওই প্রাইভেটকারের চালানোর দৃশ্যে হতবাক হয়েছেন।
[৫] ধানমন্ডি ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারি কমিশনার আকারাম হোসেন বলেন, করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণকে সচেতন করতে রাস্তায় চলাচল করতে নিষেধ করা হচ্ছে। এরপরও মানুষ রাস্তা নামছে। গত কয়েকদিনের চেয়ে সোমবার আরো বেশি পথচারী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাস্তায় সীমিত যানবাহন চলাচল করছে। এরপরও কিছু মোটর বাইক বেপরোয়া চলানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনিতেই সার্জেন্ট এবং ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় কম। সে কারণে বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছেনা। তবে নির্দিষ্ট মোড়ে সার্জেন্টদের সামনে এ ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
[৬] ট্রাাফিক (উত্তর) ডিসি সাইফুল হক বলেন, রাজধানীর ফাঁকা রাস্তায় নিরাপত্তা দিতে আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। যানবাহন থেকে শুরু করে পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করা হচ্ছে। সরকারি ছুটির পর যানবাহন কমে যাওয়ায় তেমন একটা আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। আর রাস্তা ফাঁকা থাকায় চালকরা বেপরোয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :