তিমির চক্রবর্ত্তী: [২] বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ন্যাচারের এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, বনরুই থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে।
[৩] চীনে পাচার হওয়া মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের মধ্যে করোনাভাইরাসের দুটি ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
[৪] হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষকদের বরাত দিয়ে বিবিসির তথ্য অনুযায়ি বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ভাইরাসের সঙ্গে মিল আছে মানুষের শরীরে পাওয়া ‘কোভিড ১৯’–এর।
[৫] বনরুই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি চোরাই পথে পাচার হওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে একটি, জড়িবুটি ওষুধ তৈরিতেও এটি ব্যবহার হয়ে থাকে। পূর্বপশ্চিম
[৬] হংকং ইউনিভার্সিটির গবেষক টমি ল্যাম বলেন, চোরাই পথে আসা মালয় প্রজাতির বনরুইয়ের শরীরে ভাইরাস ঢুকল কীভাবে? সে বিষয়ে আরও পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা প্রয়োজন। বিবিসি
[৭] ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট পিটার ডাসক নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, বনরুইয়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া মহামারির সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন এ প্রতিষ্ঠানটি বন্য প্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগবালাই নিয়ে গবেষণা করে থাকে।
[৮] পিটার ডাসক বলেন, ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়িয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। সম্ভবত বাদুড় থেকে। পরে ওই বাদুড় থেকে আরও একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে ছড়ায়। ওই প্রাণী চীনের উহানে বিক্রির চল আছে। প্রথম আলো
[৯] যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রখ্যাত মেডিকেল জার্নাল নেচার পাঁচ বিজ্ঞানীর এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, ভবিষ্যতে করোনাভাইরাসের মতো কোনো মারাত্মক রোগ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কমাতে বনরুইয়ের মতো জন্তু বিক্রি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত।
[১০] সহগবেষক সিডনি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এডওয়ার্ড হোমস বলেন, এর অর্থ হলো বন্য প্রাণীদের মধ্যে এমন ভাইরাস আছে, যে ভাইরাস মানুষকে সংক্রমিত করছে।
[১১] তিনি বলছেন, করোনাভাইরাসের সঙ্গে বাদুড়ের নিশ্চয়ই সম্পর্ক আছে, হয়তো বনরুইও সম্পর্কিত, তবে অন্য কোনো প্রাণীর জড়িত থাকারও জোর সম্ভাবনা আছে। যুগান্তর
[১২] যুক্তরাজ্যের লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক এন্ড্রু কানিংহ্যাম বলছেন, এই গবেষণাপত্র থেকে একলাফে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া ঠিক হবে না। ‘কোভিড-১৯’ উৎস এখনো অজানা।
[১৩] বনরুই আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশের স্তন্যপায়ী প্রাণী। বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বনরুই আছে, দেশি, চীনা ও মালয়। পিঁপড়া ও পিঁপড়াজাতীয় প্রাণী খায় বলে আঁশযুক্ত পিঁপড়াভুক নামেও পরিচিত। মুখে দাঁত নেই বলে আগে দাঁতহীন স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হতো। জাগোনিউজ
[১৪] মাটিতে বাস করা বনরুই বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেটে দেখা যায়। তবে এ প্রাণীটি গাছেও চড়তে পারে। এটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কাছে প্রিয় খাবার।
[১৫] আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ‘ট্রাফিক’ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর অন্তত ২০ টন বনরুই পাচার হয়। সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :