আবদুল ওহাব, শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: [২] শনিবার বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
[৩] উপজেলার বনানী বন্দর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক নুর আলম (২৬) নামে এবং গণ্ড গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে।
[৪] এলাকাবাসি জানান, গণ্ডগ্রামটি বগুড়া পেরৈসভার অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় প্রায় ৩ কিলােমিটার রাস্তা পাকা করণ কাজ চলছে। এজন্য রাস্তার দুপাশে অবৈধভাবে দখলকৃত স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বলা হলে প্রায় সকলেই দখলমুক্ত করলেও ওই এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বাবলু মিয়া রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল নির্মান করে। ফলে রাস্তাটি সংকুচিত হওয়ায় এলাকার অনেকের সাথে সেও প্রতিবাদ করে।
[৫] এনিয়ে দুইদিন আগে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং বাবলুমিয়া আহত হয়। পরবর্তীতে নুর আলমের বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
[৬] নিহতের পিতা-মাতা বোন অভিযোগ করে জানান, এসবের কারণে প্রায় দিন তাদের বাড়িতে পুলিশ আসতো এবং পুলিশের সাথে বাবলুর লোকজন এসে প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যেতো। এনিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি বরং আরও নানা ভয়ভীতি দেখানো হতো। বাধ্য হয়ে নুর আলম ২ দিন যাবত বাড়ি থেকে পালিয়ে বগুড়া শহরের লতিফপুর কলোনীতে থাকতো।
[৭] এমতাবস্থায় সকালে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে নুর আলম অসুস্থ, তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এরপর সেখানে গেলে তারা দেখতে পান নুর আলমের নিথর দেহ সেখানে পড়ে আছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।
[৮] নিহতের স্বজনদের দাবী নুর আলমকে গভীর রাতে ঘুমের ঔষধ বা নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে কয়েকজনে মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এবিষয়ে জানার জন্য বাবলু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
[৯] এদিকে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারন জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার ওসি আজিম উদ্দিন বলেন, নুর আলমকে তো গ্রেপ্তারই করতে পারিনি। সুতরাং এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আর ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে বিষয়টি বিস্তারিত জানা যাবে। সম্পাদনা: তিমির চক্রবর্ত্তী
আপনার মতামত লিখুন :