সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মানুষের চলাচলের শিথিলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হয়েছে মাদক কারবাবিরা। ট্রাক ও প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যানবাহনে অভিনব পদ্ধতিতে চলছিলো মাদক ব্যবসা।
[৩] রোববার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ এবং ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পৃথক অভিযান চালিয়ে চার মাদককারবাবিকে আটক করে র্যাব-২। এরপরই বিষয়টি নজরে আসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মো. বাচ্চু হাওলাদার, মো. মাহাবুব আলম, শাহবুল ইসলাম ও তার বিয়াই সোহরাব।
[৪] র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার এসপি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো যে, করোনা প্রাদুর্ভাবের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত এলাকা থেকে তারা ফেনসিডিলের একটি চালান রাজধানীতে নিয়ে আসছে। ওই খবরে পশ্চিম পান্থপথের নিউ লাম ইয়াহ ফার্ণিচার দোকানের চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করা হয়। একপর্যায়ে একটি পিকআপ থামিয়ে চালক ও সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা পিকআপের গ্যাসের সিলিন্ডারে ফেনসিডিল রাখার কথা জানায়। পরে সেটি ভেঙে ৪২৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তারা ফেনসিডিলগুলো জয়পুরহাট থেকে এনে রাজধানীর এক মাদক ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলো। আটক দুজনই বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচামাল এনে কারওয়ান বাজারে পৌঁছে দিত। তাদের কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার ৫৭০ টাকা ২টি মোবাইল এবং পিকআপ জব্দ করা হয়।
[৫] র্যাবের এ কর্মকর্তা আরো জানান, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সুবাস্তু জেনিন প্লাজার সামনে পৃথক চেকপোস্টে একটি প্রাইভেটকার থামানো হয়। এ সময় চালকের সিটের পাশের দরজায় বিশেষ ভাবে লুকিয়ে আনা দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নগদ সাড়ে ১১ হাজার টাকা, ৩টি মোবাইল এবং প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়। আটক করা হয় শাহবুল ও রতনকে। তারা পাবনা থেকে কক্সবাজার গিয়েছিল ইয়াবার চালান আনতে। শনিবার পাবনা থেকে রওনা হয়ে কক্সবাজার পৌঁছায়। এরপর রোববার ইয়াবার চালান নিয়ে পাবনায় যাওয়ার সময় পথ ভুলে ধানমন্ডিতে ঢুকে পড়লে চেকপোস্টে ধরা পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :