নূরুল হাসান খান : [২] আন্তর্জািতক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের উদ্বৃতি দিয়ে বলছে, মার্চ মাসের শেষ এবং এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্থানসহ উপমহাদেশের সবগুলো দেশেই এই সময়ের মধ্যে করোনার সংক্রমণ কয়েকগুণ বেড়ে যেতে পারে।
[৩] পরিসংখ্যানেও দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার প্রায় ২২ শতাংশ। বাংলাদেশে অবশ্য সরকারি হিসেবে সংক্রমনের হার খুব একটা বাড়েনি। তবে অনেকেই মনে করছে, বাংলাদেশে রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়াটি খুবই ধীর।করোনা নির্ণয় প্রক্রিয়াটি জোরদার হলে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এই হার আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও এখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভারত বা বাংলাদেশ স্টেজ থ্রি-তে পৌঁছয়নি। অর্থাৎ, কমিউনিটি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে এখনও ছড়িয়ে পড়েনি সংক্রমণ। কিন্তু অনেকেরই ধারণা, গত দুই দিন ধরে ভারতে যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে সংক্রমণ সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বা তার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে। লকডাউন সত্ত্বেও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তারা চিন্তিত।
[৪] এক সপ্তাহ আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্লোগান ছিল 'টেস্ট টেস্ট টেস্ট'। অভিযোগ ভারতে সে ভাবে টেস্ট হচ্ছেই না। শুক্রবারই ডয়চে ভেলেকে বিশিষ্ট চিকিৎসক সাত্যকি হালদার জানিয়েছিলেন, ''দেশে করোনা পরীক্ষার যথেষ্ট পরিকাঠামোই গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। বিদেশ ফেরত বা বিদেশ ফেরতের সঙ্গে সম্পর্কযুক্তদেরই কেবল পরীক্ষা হচ্ছে অধিকাংশ জায়গায়। ফলে আসলে ভাইরাসটি কতটা ছড়িয়েছে, সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়েছে কি না, এই তথ্য পাওয়াই যাচ্ছে না।'' সূত্র : ডি ডব্লিউ/ (পিটিআই, রয়টার্স)
আপনার মতামত লিখুন :