শিরোনাম
◈ ‘করোনাভাইরাস চীনের ল্যাবে তৈরি’ বলছে হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইট  ◈ বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর হজে যাবেন ৮৭ হাজার জন, নেওয়া হচ্ছে যেসব ব্যবস্থা ◈ একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে বসাতে গণ-অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ দেশের ৯ অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঝোড়ো বৃষ্টি হতে পারে ◈ ঢাকা বায়ুদূষণের শীর্ষে, যেসব পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ◈ ইন্টারপোলে হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন ◈ রাখাইনের গেরিলা কমান্ডার থেকে আঞ্চলিক শক্তি: তোয়ান মারত নাইংয়ের উত্থানের গল্প ◈ ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের: ‘অগ্রগতি না হলে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র’ ◈ ১৪ ঘণ্টা পর ড্রেনে পড়ে যাওয়া নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার ◈ তিন দাবিতে এনসিপির নতুন কর্মসূচি

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২০, ১২:২৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] স্বামী নিখোঁজের পর স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহের বিধান এবং শরিয়াত সম্মত পদ্ধতি

ইসমাঈল আযহার: [২] কোনো মেয়ের স্বামী নিখোঁজ হয়ে গেলে বিচ্ছেদের শরিয়তসম্মত পদ্ধতি হলো, প্রথমে দেখতে হবে মেয়েটিকে তালাকের অধিকার দেওয়া হয়েছে কিনা৷ যদি দেওয়া থাকে, তাহলে মেয়ে নিজের উপর নিজেই তালাক গ্রহণ করবে৷ অতপর ইদ্দত পালনের পর অন্যত্রে বিবাহ বসবে৷ আর যদি তালাকের অধিকার দেওয়া না থাকে, তাহলে মুসলিম বিচারকের নিকট নিজ সমস্যার কথা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করবে৷ যদি এ রকম বিচারক না পাওয়া যায়, তাহলে মুসলিম পঞ্চায়েতে বা ওলামায়ের কেরামের নিকট সমস্যা পেশ করবে৷ এবং তাদের নিকট বিবাহ বন্ধন ও নিখোঁজের সাক্ষী প্রমান পেশ করবে৷

[৩] মেয়েটি স্বামীর তল্লাশি নিবে৷ তল্লাশির পর যখন প্রমানিত হবে প্রকৃত অর্থেই তার স্বামী নিখোঁজ৷ বিচারক বা ওলামায়ে কেরাম নিখোঁজ স্বামীর স্ত্রীকে চার বছর অপেক্ষা করার জন্য আদেশ দিবে৷ চার বছর পুর্ন হলে মেয়ে বিচারক বা ওলামায়ে কেরামকে জানাবে৷ অতপর তারা তার স্বামীকে মৃত সাব্যস্ত করে স্ত্রীকে মৃত স্বামীর ইদ্দত ৪ মাস দশদিন পালনের আদেশ দিবে৷ ইদ্দত পালনের পর এ মহিলা অন্যত্র বিবাহ বসতে পারবে৷

[৪] মেয়েটির জন্য যদি চার বছর অপেক্ষা করা কোনোক্রমেই সম্ভবপর না হয় ৷ যেমন তার খোরপোষের ব্যবস্থা না থাকা, বা অন্যত্রে বিবাহ না হলে কুকর্মে লিপ্ত হওয়া প্রবল আশংকা থাকা ৷ তাহলে বিচারক বা ওলামায়ে কেরাম মেয়েটিকে চার বছরের পরিবর্তে এক বছর অপেক্ষা করার নির্দেশ দিবে ৷ অতপর এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মেয়েটি বিচারক দ্বারা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করিয়ে নিবে ৷ এবং তালাকপ্রাপ্তা মেয়ের ইদ্দত,’ তিন ঋতস্রাব’ পালনের পর অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে৷ ইমদাদুল মুফতিয়ীন, পৃ: ৫৫৮-৫৯; আল হিলাতুন নাজেযা, পৃ: ৬৯৷

[৫] যদি স্ত্রী তালাকের অধিকার প্রাপ্ত হয়ে প্রথম স্বামী থেকে তালাক গ্রহন করে দ্বিতীয় স্বামী গ্রহন করে থাকে, তাহলে তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বহাল থাকবে৷ আর যদি তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত না হয়ে থাকে, তাহলে শরিয়তসম্মত উল্লেখিত পদ্ধতি অনুযায়ী বিচ্ছেদ হওয়ার পর যদি দ্বিতীয় বিবাহ হয়, অতপর স্বামী ফিরে আসলে, হানাফি সহিহ মতানুযায়ি উক্ত স্ত্রীর প্রথম স্বামীর স্ত্রী হিসেবে বহাল থাকবে৷

[৬] দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে৷ আর যদি শরিয়তসম্মত পন্থায় বিচ্ছেদ না ঘটিয়ে অন্যত্রে বিবাহ বসে থাকে৷ তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত স্ত্রী প্রথম স্বামির স্ত্রী হিসেব বহাল থাকবে৷ সর্বাবস্তায় প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শিবহে নিকাহ হওয়ার কারণে গর্ভের বাচ্চাটির নসব দ্বিতীয় স্বামি থেকে হবে৷ ইমামদুল মুফতিয়ীন, পৃ: ৫৫৮; আল হিলাতু নাজেযা, পৃ: ৮৭-৮৮৷

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়