দেবদুলাল মুন্না : [২] ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের রোগতত্ত্বের সহযোগী অধ্যাপক অবরি গর্ডন ‘লাইভ সায়েন্স’কে বলেন, যদি কোনো নতুন ভাইরাস এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসে, যিনি ওই ভাইরাসের প্রতি সংবেদনশীল নন (অর্থাৎ ভাইরাসটি তাকে আক্রান্ত করতে সক্ষম হচ্ছে না), তখন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার ধারাবাহিকতা ভেঙে যায়। সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে সাধারণত একজন আক্রান্ত হলে তিনি দুজনকে আক্রান্ত করেন। ওই দুজন থেকে আবার চারজন আক্রান্ত হন। এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকে। কিন্তু ভাইরাসটি যখন এই চক্রে এগোতে গিয়ে একজনকে আর আক্রান্ত করতে পারে না, তখন সেই চক্রটি ভেঙে যায়। ফলে একসময় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যে আক্রান্ত করার মতো আর মানুষ পাওয়া যায় না। তখন সংক্রমণ কমে আসতে থাকে। তবে এই প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ। অথবা সঠিক ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে, মানুষ তা গ্রহণ করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী হয়ে উঠবে।
[৩] অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি অব নটর ডেমের রোগতত্তে¡র শিক্ষক অ্যালেক্স পারকিনস ‘সায়েন্স নিউজ ডট অরগ’কে বলেন, রাতারাতি ভ্যাকসিন তৈরি করা কঠিন কাজ। এ কারণেই এখনো অনেক সংক্রামক রোগের ভ্যাকসিন নেই। করোনাভাইরাস যেহেতু অত্যন্ত সংক্রামক, সেহেতু এটি কখনোই পুরোপুরি অদৃশ্য হবে না। কোনো না কোনো আকারে রয়ে যাবে। তবে এ ভাইরাস দুর্বল হয়ে পড়ে একসময় শ্বাসযন্ত্রের রোগ হিসেবে স্থায়ীভাবে টিকে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :