কামাল হোসেন : [২] শুক্রবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন। তিনি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পূর্ব গন্দারদিয়া গ্রামের মৃত আ. মান্নান শেখের ছেলে।
[৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রোর আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় কক্ষে ঘুমিয়ে থাকাকালে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
[৪] হাসপাতালের নাইট গার্ড তরিকুল ইসলাম জানান, সাইফুল প্রায় ৫ বছর ধরে গোয়ালন্দ উপজেলায় স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয় তলার রুমে একাই থাকতেন তিনি। দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ গোংগানির শব্দ শুনে আশপাশের রুম থেকে লোকজন ছুটে যান। দরজা ভেঙ্গে সারা শরীর ঝলসানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। রুম ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিলো।
[৫] সাইফুলের শ্যালক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, অগ্নিদগ্ধের কিছু সময় আগে ভগ্নিপতি মোবাইল ফোনে আমার মা ফিরোজা বেগম বলেন- মা, আমার ছেলে দুটিকে দেখে রাখবেন, বাবাকেও বলবেন ওদের প্রতি খেয়াল রাখতে। ঠান্ডা মাথায় এই অল্প কথা বলেই সে ফোন রেখে দেয়। অগ্নিকাণ্ড ঘটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
[৬] গোয়ালন্দ থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, ময়না তদন্ত রিপোর্টে সাইফুলের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :