মোস্তাফিজুর রহমান : মৃত মনিরুজ্জামান হাওলাদার মনির (৫০) উত্তর খান থানার চামর খান এলাকার মৃত আমজাদ আলী হাওলাদারের ছেলে। শনিবার ২১ মার্চ সকালে ঘটনাটি ঘটে।
[৩] অপরদিকে উত্তর খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হেলাল উদ্দিন বলছেন, পাঁচ জনকে একদিন আটকে রেখে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছিলেন ওই এলাকার বেশ কয়েকজন।এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনকে আটক করেন। সে সময় মনিরুজ্জামান স্ট্রোক করেন, পরে তাদের স্বজনদের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে উত্তরার ক্রিসেন্ট হসপিটালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
[৪] এ ঘটনায় ভিকটিম সোহেল এর চাচা আবু তাহের বাদী, রায়হান, রাসেদুল, রাজিব, তিন জনের নাম সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মৃত মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না।
[৫] ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ টি ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[৬] নিহত মনিরুজ্জামানের বড় ভাই মো. জাকির হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ আমাদের বাসায় এসে ভাই মনিরুজামানকে মারধর করে টেনে ছেঁচড়ে ৪র্থ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে, তাকে উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ভাই কোন আসামী ছিল না। পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
[৭] তিনি আরো বলেন, তার ভাই পাশের বাসার ভাড়াটিয়া একটি মেয়ে তাকে বাবা বলতো। মেয়েটির পরিবার ছিল খুবই গরিব। মেয়েটির বাবা মায়ের কথায় মনিরুজ্জামান এর বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং তার খালু শ্বশুরের ছেলে জহিরুল ইসলামের সাথে মেয়েটির বিয়ে ঠিক করেন মনিরুজ্জামান। এতে উভয়ের পিতা মাতা স্ব মতে শুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান, তাদের বাড়ির ছাদে। ঐ দিন সোহেল নামে একটি ছেলে এসে মেয়ে মেয়ের বাবা মা কে হাতে পায়ে ধরে বলেন। সে মেয়ে টিকে ভালোবাসেন পাঁচ বছর যাবত। পড়ে এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়'রা সহ বসে সিদ্ধান্ত নেন। সোহেলের সাথে পর দিন শনিবার বিয়ে হবে। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, যেহেতু বিয়ের খরচ করে ফেলেছে, সে জন্য ঐ খরচ বাবদ তাদের এক লাখ টাকা দিয়ে দিতে হবে। সোহেলের পরিবারের বোন সহ ঐ বাসায় চারপাঁচ জন ছিল। আজ শনিবার অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ সকালে পুলিশ আমাদের বাসায় এসে হামলা চালায়, এতে আমার ভাই মারা যায়।
আপনার মতামত লিখুন :