✖

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষাও পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।যুগান্তর

[৩] আগামী রোববার অথবা সোমবারের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া না হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

[৪] দেশের একাধিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এমন আভাসই দিয়েছেন।

[৫] এর আগে ১৬ মার্চ করোনাভাইরাস সতর্কতায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

[৬] তবে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় ওইদিন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

[৭] শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হলেও বাস্তবে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার মতো অবস্থা এখন নেই। এ অভিমত তারা এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন।

[৮] বোর্ড চেয়ারম্যানদের এমন মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়।

[৯] প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা বাতিল হওয়া পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ারই ইঙ্গিত বলে জানান তারা।

[১০] পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক গতকাল বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেকটা তাই। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী রোববার বা সোমবারের মধ্যে আমরা সংশ্নিষ্ট সবাইকে জানিয়ে দেব।’

[১১] সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মজিদুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত না হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা কম।’

[১২] শিক্ষা বোর্ডগুলোর সূত্র জানিয়েছে, পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও আতঙ্কে আছেন। সরকার সভা সমাবেশ এড়িয়ে চলার সতর্কতা জারি করায় এইচএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে গত সোমবার ঢাকা ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন সব পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিবদের সভা ডাকা হলেও স্থগিত করা হয় তা।

[১৩] রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ কেন্দ্র সচিবকে নিয়ে এ সভা করতে হয়। এ মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগম আমরা সঠিক মনে করিনি। তাই সভা না করে সব নির্দেশনা বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।’

[১৪] যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমির হোসেন বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরীক্ষা বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও না হলেও দু-একদিন অপেক্ষা করুন। সবই জানতে পারবেন।’

[১৫] প্রসঙ্গত আগামী ১ এপ্রিল বাংলা (অবশ্যিক) প্রথমপত্র দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ৪ মে পর্যন্ত তত্ত্বীয় পরীক্ষা হওয়ার কথা। এরপর ৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।