নিউজ ডেস্ক :[২] যাদের মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ রয়েছে, তাদের জন্য ‘আইবুপ্রোফেন’ শ্রেণির ওষুধ সেবন বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আমাদের সময়
[৩] এ জন্য সন্দেহভাজন আক্রান্তদের এই শ্রেণির কোনো ওষুধ সেবন না করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এই শ্রেণির ওষুধ সেবন নিয়ে সম্প্রতি ফরাসি চিকিৎসকরা সতর্ক করার পর গত মঙ্গলবার ‘আইবুপ্রোফেন’ নিয়ে এই সতর্কতা দেয় ডব্লিউএইচও। খবর এএফপির।
[৪] ওষুধবার্তার তথ্য অনুযায়ী, ‘আইবুপ্রোফেন’ উচ্চমাত্রার প্রদাহবিরোধী, জ্বরনিবারক ও বেদনানাশক। এ ছাড়া আইবুপ্রোফেন ‘সাইক্লো অক্সিজিনেজ এনজাইমের’ একটি শক্তিশালী প্রতিবন্ধক। এটি শরীরে প্রোস্টাগ সংশ্লেষণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে দেয়। এই শ্রেণির ওষুধ চিকিৎসকরা সাধারণত রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস, গাউটি আথ্রাইটিস, জুভেনাইল পলিআথ্রাইটিস, এনকাইলজিং স্পন্ডিলাইটিস, সাইনোভাইটিস, কোমর ব্যথা, ডিসমেনোরিয়া, জ্বর, মাইগ্রেন, নরম কোষকলার আঘাত, দাঁত ও পেশির প্রদাহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সেবন করতে নির্দেশ করেন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন নামে ‘আইবুপ্রোফেন’ শ্রেণির ওষুধ তৈরি করে থাকে।
[৫] সম্প্রতি চিকিৎসাবিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে এ বিষয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভিরান ‘আইবুপ্রোফেন’ শ্রেণির ওষুধ নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আইবুপ্রোফেনের’ মতো প্রদাহবিরোধী ওষুধ দ্বারা উৎসাহিত একটি এনজাইম কোভিড-১৯ সংক্রমণকে সহজতর ও খারাপ করতে পারে।
[৬] এ বিষয়ে ডব্লিউএইচও মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আইবুপ্রোফেন বিষয়ে পরবর্তী দিকনির্দেশনা দেবেন। তবে আমরা কোভিড ১৯-এর উপসর্গ থাকা রোগীদের সাধারণ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছি। তবে প্যারাসিটামল সেবনেও চিকিৎসকরা সতর্ক করেছেন। তারা বলছেন, জ্বরের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় প্যারাসিটামল সেবন করতে হবে। অতিরিক্ত মাত্রায় এটি সেবনে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
[৭] এদিকে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় জাপান পুরোপুরি কার্যকর একটি ওষুধ তৈরি করেছে বলে দাবি করেছে চীন। দেশটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ঝ্যাং শিনমিন দাবি করেছেন, জাপানের ফুজিফিল্ম হোল্ডিংস করপোরেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান টয়ামা কেমিক্যালের তৈরি ‘ভধারঢ়রৎধারৎ’ নামের ওষুধটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে কার্যকর ফল এসেছে।
[৮] সম্প্রতি ওষুধটি উহান ও শেনঝেন অঞ্চলের অন্তত ৩৪০ করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। সেখানে ওষুধটি খুবই নিরাপদ ও পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে। যদিও ওষুধটি নিয়ে চীনের এই দাবির আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি টয়ামা কেমিক্যাল। অনুলিখন : রাকিবুল