সালেহ্ বিপ্লব : [২] পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। ঢাকার বাইরে তিনি প্রথম সফরে যান ২০ ফেব্রুয়ারি। হেলিকপ্টারে চড়ে তিনি সেদিন লক্ষ্মীপুরের রামগতির চরপোড়াগাছা গ্রামে যান। জনতার উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে মাটি কেটে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে শুরু হওয়া সেই রাস্তাটি এখন রামগতি-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়ক। আর যেখানে তিনি মাটি কেটেছিলেন, সেই স্থানটি ‘শেখের কিল্লা’ নামে বেশ পরিচিত। নোয়াখালী সংবাদ, নোয়াখালী ট্রিবিউন, জাগোনিউজ, দেশেবিদেশেডটকম
[৩] বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি রক্ষায় আলেকজান্ডার-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে উন্নয়ন সংস্থা ডরপ-এর উদ্যোগে ’শেখের কিল্লা’ নামফলক নির্মাণ করা হয়েছে।
[৪] ডরপ-এর প্রতিষ্ঠাতা এএইচএম নোমান জানান, ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ স্থানটির ইতিহাস তুলে ধরতেই কয়েক বছর আগে ‘শেখের কিল্লা মাইলস্টোন’ স্থাপন করেন। তিনি বলেন, কিল্লার স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, পর্যটক রেস্ট হাউজ, স্থানীয় সংস্কৃতি, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইতিহাসসহ পাঠাগার সংবলিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা স্বপ্ন কমপ্লেক্স’ স্থাপন অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে স্থানটির গুরুত্ব তৈরি হবে এবং মেঘনার নদীসহ একটি পর্যটন এলাকা গড়ে উঠবে।
[৫] একই দাবি স্থানীয় জনতার। তারা একাধিকবার মানববন্ধন করেছেন, স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
[৬] ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত শেখের কিল্লা স্থানটি পরিদর্শন করেন। তখন সেখানে শেখের কিল্লার পরিবর্তে বঙ্গবন্ধু শেখের কিল্লা নামকরণ করার সিদ্ধান্ত হয়।
[৭] গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে পোড়াগাছা এলাকায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ও উন্নতমানের গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
[৮] এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বিমানমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, ওই জনসভায় আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী ছিলাম। শেখের কিল্লা নামফলকের স্থানেই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে। এরমধ্যে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :