মিনহাজুল আবেদীন : [২] মঙ্গলবার বিবিসি বাংলার পরিক্রমা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'সবাই সারাক্ষণ আতংকের মধ্যে আছে'। করোনাভাইরাসের কারণে মিলান শহরের অবস্থা কোনদিকে যাবে, সেটা বুঝা যাচ্ছে না। সবাইকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
[৩] ফেরদৌসি আক্তার বলেন, শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বাইরে গেলে পুলিশ কাগজপত্র দেখতে চাইছে। বাড়ির বাইরে যাওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে। বাইরে দোকানপাট-রেস্টুরেন্ট সব বন্ধ করা হয়েছে। সব জায়গা ফাঁকা, কোথাও কোনো লোকজন নেই। স্টেশনে মেট্রোবাস সময়মত চলছে না। চারিদিকে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ডাক্তারখানায় ডাক্তার নেই। সুপারমার্কেটগুলোতে জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে না।
[৪] তিনি বলেন, জেলখানাগুলোতে বন্দীরা বিদ্রোহ করছে, অনেক বন্দী পালিয়েও যাচ্ছে। পুরোদেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিমান চলাচল, ফুটবল ম্যাচ, কনসার্ট বন্ধ করা হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে বাড়ি থেকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নামকরা ফ্যাশন ব্রান্ডগুলো অর্ডার নেয়া কমিয়ে দিয়েছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস ঠেকাতে ব্যাপক এবং কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইতালি সরকার। কিন্তু কোনোভাবে এটি প্রতিহত করা যাচ্ছে না। সম্পাদনা: সিরাজুল ইসলাম ও রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :