শিরোনাম
◈ নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু ◈ এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের সামনে দুটি পথ : ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদন ◈ পুকুর থেকে মাছ চুরি করে কোটিপতি! ◈ কেউ সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না সেন্ট মার্টিনে: রিজওয়ানা হাসান ◈ দেশে চালু করা হচ্ছে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ◈ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা সিটি কলেজে, অনিশ্চয়তায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী ◈ মহিষের বীর্য বিক্রি করে মাসে আয় ৭ লাখ টাকা! ◈ আজিমপুরে দিনেদুপুরে ডাকাতি করতে ঢুকে মালামালের সঙ্গে শিশুকেও নিয়ে গেল দুর্বৃত্তরা ◈ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো ইংল্যান্ড ◈ শিল্পাঞ্চলসমূহে সেনাবাহিনীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা

প্রকাশিত : ১২ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪৩ সকাল
আপডেট : ১২ মার্চ, ২০২০, ০৬:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাস্কের মূল্য নিয়ে অরাজকতা : প্রশাসন থেকে কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে

 

মির্জা ইয়াহিয়া: সম্প্রতি অফিসে আসার পথে বনানীতে এক ওষুধের দোকানে গিয়েছিলাম লিকুইড স্যাভলন কিনতে। বিক্রেতা সরাসরি বললেন, নেই। আমার বিশেষ অনুরোধের প্রেক্ষিতে দোকানি একটু ভেবেচিন্তে বললেন, কয়টা লাগবে? আমি বললাম, পাঁচটি। পরবর্তী সময়ে তিনি পাঁচটি নয় তিনটি লিকুইড স্যাভলনের বোতল দিতে রাজি হলেন। তাই আমি নিতে বাধ্য হলাম। বিষয়টি আমাকে হতবাক করলো। সুযোগে চড়া দামে বিক্রি করবে, নয়তো স্টক করে রাখবে। আমরা আসলেই হুজুগে বাঙালি। গত কয়েক মাসে এটা বারবার দেখা যাচ্ছে। এর সুযোগ সহজেই নিতে পারছে মুনাফাখোররা। পেঁয়াজের দামে যখন আগুন লাগলো তখন অনেকেই কয়েক মাসের পেঁয়াজ একসঙ্গে কিনে ঘরে জমা রাখলো। এভাবে চাহিদা বাড়ায় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকা কেজিতে নিয়ে গিয়েছিলো। আর ২০০ টাকা কেজি তো ছিলো বেশ কিছুদিন। পেঁয়াজের দাম যখন ভয়াবহ তখন লবণ নিয়ে গুজব শুরু হয়। সেটা ছিলো মাত্র একদিন। তবে অনেকেই ১০-২০ কেজি করে লবণ কিনে রাখে। ৩৫ টাকা কেজি লবণ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। অনেকেই কিনে নেয়। সেই লবণ কিন্তু এখনো বাসা থেকে শেষ হয়নি। লবণের বেচাবিক্রি এখন তাই কম। ফাঁকে ক্রেতারা ঠকেছে। আর কিছু ব্যবসায়ী মুনাফা লুটে নিয়েছে। চীনে যখন করোনাভাইরাস দেখা গেলো তখন থেকেই আমাদের দেশে মাস্কের দাম বেড়ে যায়। দেশে এই রোগী পাওয়া গেছে ৮ মার্চ। তারপর তো পাঁচ টাকার মাস্ক ১০০-১৫০ টাকা করে বিক্রি শুরু হলো। তারপরও অনেকেই কিনতে পারছে না। দাম দিতে কারও আপত্তি নেই।

আমাদের এই হুজুগের কারণে ৮ মার্চ সন্ধ্যার মধ্যে সুপারশপ, ফার্মেসি সব জায়গা থেকেই রাতারাতি শেষ হয়ে গেছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। গায়ের চেয়ে অনেক বেশি দাম দিয়ে কিনে ঘরে ঘরে স্টক করেছে ক্রেতারা। সুযোগে ব্যবসা করে নিলো দোকানদাররা। সব কিছুতেই আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে সচেতনতা কম। আবার ব্যবসায়ীরাও মানুষের দুর্যোগ থেকে কামাই করে নিতে চায় বাড়তি কিছু। অন্যদিকে সরকার ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারছে না। তবে আজকের পত্রিকায় প্রশাসন থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আশা করি এটা ব্যবসায়ীরা মেনে চলবে। এ নিয়ে প্রশাসন থেকে কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ডেঙ্গু টেস্টের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে প্রশাসন সফল হয়েছিলো। এবারও সেভাবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ সর্বশেষে সব কিছুর দায়িত্ব তো সরকারের উপরই বর্তায়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়