কামাল হোসেন, গোয়ালন্দ প্রতিনিধি: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কটি সংস্কার করা হলেও দুই পাশের চলাচলের সড়কপথটি মেরামত না করায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।
[৩] মহাসড়কের দুই পাশের চলাচলের পথে ইটের সলিং থাকায় পথচারী এবং ছোট ছোট যানবাহনগুলো প্রায়োজনে দুরপাল্লার গাড়ীগুলোকে সাইড দিয়ে সড়ক থেকে ইটের সলিংয়ে অনাসায়ে চলাচল করতে পারত। কিন্তু মহাসড়কটি ২৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একমাস আগে সংস্কার করা হয়। কিন্তু সড়কের দুইপাশের ইটের সলিং উঠিয়ে সংস্কার করে দুই ইঞ্চি পুরুত্ব করে কার্পেটিং করায় চলাচলের সড়কটি প্রায় ১ ফুট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়।
[৪] ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশেই রয়েছে ২০টি বিদ্যালয় একাধিক মসজিদ, ছোট-বড় হাট বাজার ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিস-আদালত। অসংখ্য পথচারী, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট যানবাহনে করে এমনকি পায়ে হেটেও সড়কের পাশ দিয়ে চলাচল করে। চলাচলের সড়কটি অতি শীর্ঘই সংস্কার না করলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
[৫] উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে মহাসড়কের রাজবাড়ীর খানখানাপুর এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও থ্রি-হুইলার মাহেন্দের মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ ৫জন যাত্রী নিহত হয়। গত বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এক স্কুল ছাত্রী হোন্ডার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত বুধবার ভোরের দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার জমিদার ব্রীজ এলাকায় হার্ডবোর্ড ভর্তি একটি ট্রাক উল্টে যায়। গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গাজীপুরগামী ওই ট্রাকটি অপর গাড়ীকে সাইড দিতে গিয়ে উল্টে যায়। তারা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। গড়ে প্রতি সপ্তাহে এক/দুইটি দূর্ঘটনা এ এলাকায় ঘটেই থাকে।
[৬] এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন জানান, ২৩ কোটি ৮৫ লাক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৯ কিঃমিঃ সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। তবে সড়কের দুই পাশে মেরামত করার কোন বাজেট ছিল না। তবুও অন্যদিক থেকে ম্যানেজ করে কিছুটা সড়কপথ মেরামত করা হয়েছে। দুই পাশের সম্পুর্ণ সড়কপথ মেরামতের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাজেট এলে সড়কের দুই পাশে মেরামত করা হবে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :