সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : [২] ঠাকুরগাঁও সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বিরল প্রজাতির ১১টি শকুন উদ্ধার করা হয়েছে । প্রকৃতির ঝাড়–দার হিসেবে পরিচিত বিলুপ্ত প্রায় এই পাখি গুলোকে রাখা হয়েছে দিনাজপুরে বীরগঞ্জ উপজেলার জাতীয় উদ্যান সিংড়া ফরেস্টের শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে ।
[৩] দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা শকুনকে সুস্থ করার জন্য দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় উদ্যান সিংড়া ফরেস্টে গড়ে তোলা হয়েছে একমাত্র এই পরিচর্যা কেন্দ্রটি । চার বছর আগে বাংলাদেশ বন বিভাগ ও আইইউসিএনের উদ্যোগে চালু করা হয় শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্র । এখানে দীর্ঘ পরিচর্যায় সুস্থ করার পর সময় মত তাদের প্রকৃতিতে ছেড়ে দেয়া হয়।
[৪] ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের কর্মকতার্ ( রেঞ্জার) হরিপদ দেবনাথ জানান, শীত মৌসুমে অন্যদেশ থেকে আসা ক্লান্ত ১১টি শকুনকে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয় ।আগের বছরের রয়েছে ১টি শকুন । তাদের পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে সুস্থ করে তোলা হয়েছে ।
[৫] পরিবেশের পরম বন্ধু খাচায় রাখা এই পাখিগুলোকে আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাকে অবমুক্ত করা হবে জানায় বনবিভাগ । পরিচর্যার কেন্দ্রের কর্মী বেলাল হোসেন বলেন, এই পাখি দেখতে দুর-দুরান্ত থেকে শতশত দশনার্থী ভীড় করে । সোমবার রংপুর থেকে আসা দশম শ্রেণীর ছাত্রী সিনথিয়া বলে সে নেটে- ইউটিউবে দেখেছে প্রায় বিলুপ্ত এই পাখি গুলোকে ।বাস্তবে এক নজর দেখে সে বলে উঠে এগুলোকে সংরক্ষণ না করা গেলে ডাইনোসরের মত শকুনও পৃথিবী থেকে এক সময় হারিয়ে যাবে । এমন মন্তব্য অনেকের ।
[৬] জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, এক সময় রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও সহ পাশ্ববর্তী জেলায় অনেক শকুন দেখা যেতো । কিন্তু কালের পরিক্রমায় তা এখন বিলুপ্তির পথে ।
[৭] তিনি আরও জানান, সারা বিশ্বে প্রায় ২৩ প্রজাতির শকুন দেখা যায়। এর মধ্যে ৬ প্রজাতির শকুন আমাদের দেশে রয়েছে। ৪ প্রজাতি স্থায়ী আর ২ প্রজাতি পরিযায়ী।বাংলা শকুন ছাড়াও আছে রাজ শকুন, গ্রীফন শকুন বা ইউরেশীয় শকুন, হিমালয়ী শকুন, সরঠোঁট শকুন, কালা শকুন ও ধলা শকুন।দেশে তিন প্রজাতির শকুন স্থায়ীভাবে বসবাস করত। এর মধ্যে এক প্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্তির পথে দেশি প্রজাতির বাংলা শকুনও। শকুন অধিকাংশই বিপন্ন প্রায়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :