ইসমাঈল আযহার: [২] দেশটির বর্তমান বাদশাহর ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে আটকের পর অন্যান্য প্রিন্সদের ধরপাকড় চলছে। ৩ জন শীর্ষস্থানীয় প্রিন্স আটক হওয়ার খবর জানা গেলেও মূলত আটকের সংখ্যা ২০জন। তাদের মধ্যে ৪ জনের নাম জানা গেছে। মিডল ইস্ট আই, রয়টার্স
[৩] খবরে জানানো হয়েছে, তারা হলেন বাদশাহ সালমানের একমাত্র জীবিত ভাই প্রিন্স আহমেদ, তার ছেলে প্রিন্স নায়েফ বিন আহমেদ (ল্যান্ড ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি অথরিটির প্রধান), সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও তার সৎ ভাই নাওয়াফ বিন নায়েফ।
[৪] বার্তাসংস্থা রয়টার্স সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, আমেরিকা ও আরও কিছু বিদেশী শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে আটককৃত প্রিন্সদের বিরুদ্ধে। রয়টার্স একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান নিজেই তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন।
[৫] এই ধরপাকড়ের মধ্যে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রাজপরিবারের সকল প্রিন্সকে টুইটারে তার প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩ জন প্রিন্স ইতিমধ্যে তা করেছেনও।
[৬] আরেক প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহকে নিয়েও উদ্বেগ ছড়িয়েছে। সাবেক বাদশাহ আবদুল্লাহর এই সন্তানকে একসময় সিংহাসনের অন্যতম উত্তরাধিকার ভাবা হতো।
[৭] ২০১৭ সালে ক্রাউন্স প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যখন বেশ কয়েকজন প্রিন্স ও রাজপরিবারের সদস্যদের হোটেল রিটজ কার্লটনে আটক রেখেছিলেন, তাদের মধ্যে প্রিন্স মিতেবও ছিলেন। তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা প্রদানের বিনিময়ে মুক্তি পান। ৬৫ বছর বয়সী মিতেব একসময় অভিজাত ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :