ইত্তেফাক : [২] ভারত আসন্ন বিপদের সম্মুখীন। তাও আবার তিন দিক দিয়ে। এমনই আশঙ্কাবাণী শুনিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি বলেছেন, দেশের অবস্থা ভয়ানক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং একটি সংবাদপত্রে তার এক কলামে লেখেন, সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিশ্ব জুড়ে মহামারির এই ত্রিভুজ ভারতের আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করে দেবে।
এদিকে দিল্লির সহিংসতা বিষয়ে আগামী ১১ মার্চ পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সেখানে বিবৃতি দেবেন বলেও জানিয়েছেন। খবর ওয়ান ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।
[৩]সামাজিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে যা বললেন মনমোহন
নিজের লেখায় মনমোহন সিং দিল্লিতে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, আমাদের সমাজের কিছু বিশৃঙ্খল মানুষ এই ঘটনার জন্য দায়ী। পাশাপাশি রাজনৈতিক বহু নেতাও এই বিশৃঙ্খল মানুষদের দলে পড়ে। এরা সম্মিলিতভাবে সাম্প্রদায়িক এই সহিংসতার আগুনে ঘি ঢেলেছে।
[৪]বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ
পাশাপাশি গত কয়েক মাসে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ঘটনার বিষয়ে তিনি লেখেন, ‘ভারতে ইতিহাসের অন্ধকার কালকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে গত কয়েক মাস। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, পাবলিক প্লেস এবং বাড়িঘরেও হিংসাত্মক সাম্প্রদায়িক উসকানি বয়ে চলেছে। আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকদের সুরক্ষা না দিয়ে নিজেদের ধর্ম ত্যাগ করেছে। ন্যায় বিচারের প্রতিষ্ঠান এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ মিডিয়াও আমাদের হতাশ করেছে।’
[৫]সামাজিক অস্থিরতায় ঢাকা অর্থনৈতিক মন্দা
অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে এরকম সামাজিক অস্থিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘বিনিয়োগকারী, শিল্পপতি এবং উদ্যোক্তারা নতুন প্রকল্প শুরু করতে রাজি নয় এবং তাদের ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছাও হারিয়েছেন।
মনমোহন লিখেছেন, সত্যটি হলো দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক। আমরা যে ভারতকে জানি এবং লালন করি সেই ভারত দ্রুত পিছলে পড়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাকে ঢাকা হচ্ছে। জাতি হিসাবে আমরা যে গুরুতর ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছি সেগুলোর সমাধান করার সময় এসেছে। এছাড়া ভারতের ওপর করোনা আতঙ্কের কথাটিও উঠে আসে তার লেখায়।
আপনার মতামত লিখুন :