অনলাইন ডেস্ক : [২] কাজের চাপ, উদ্বেগ কাটাতেই হোয়াইট হাউসের শিক্ষানবিস (ইন্টার্ন) মনিকা লিউনস্কির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। কী পরিস্থিতিতে তিনি এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, সেটা না-কি পরে স্ত্রীকে খোলাখুলি জানিয়েছিলেন। এক মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই বললেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
[৩] দুই দফায় ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন ক্লিনটন। ১৯৯৮ সালে ক্লিনটনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন মনিকা লিউনস্কি। তারপরই ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও মার্কিন সিনেট তাকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় এবং প্রেসিডেন্ট পদেই বহাল থাকেন ক্লিনটন। কিন্তু লিউনস্কির সঙ্গে তার সর্ম্পক নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়। কীভাবে সামলেছিলেন নিজের সংসার, এবার সেই কথাই জানালেন ক্লিনটন।
[৪] ‘হিলারি’ নামের ওই সিরিজে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রত্যেকের জীবনেই চাপ, হতাশা, ভয় আতঙ্ক থাকে, আমার জীবনেও ছিল। তবে সেই চাপ, উদ্বেগ কাটাতে আমি যা করেছিলাম তা মোটিই ঠিক ছিল না, এটা একটা বোকা বোকা কাজ ছিল। এটা কোনও সাফাই নয়, ব্যাখ্যা।’
[৫] ১৯৯৮ সালে মনিকার সঙ্গে ক্লিনটনের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আসে। তাদের মধ্যে ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সম্পর্ক ছিল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেও বার বার তিনি স্ত্রী হিলারিকে মিথ্যা বলেন বলে স্বীকার করেছেন ক্লিনটন। কিন্তু একদিন সব কিছু স্ত্রীর কাছে স্বীকার করেন। ক্লিনটন বলেন, একদিন রাতে তিনি বিছানায় স্ত্রীর পাশে বসেন, কথা বলেন। মনিকার সঙ্গে কবে, কোথায় কী কী ঘটেছিল, সব সত্যি বলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
[৬] হিলারি পরে জানান, তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তার স্বামী তাকে দিনের পর দিন মিথ্যা কথা বলে গিয়েছেন। তবে টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে গেলেও তাদের সংসার টিকে যায়। ক্লিনটন জানিয়েছেন, স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে তারা কাউন্সেলিং করেন। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, কিন্তু জরুরি ছিল। ক্লিন্টন আরও বলেন, তিনি যখন দেখেন মনিকা গোটা বিষয়টিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন, তখন খুব খারাপ লেগেছিল তার। কিন্তু ক্লিনটন এটাও দেখেছেন, ওই সময়ে মনিকা কীভাবে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসার লড়াই করেছেন।
সূত্র: ইত্তেফাক
আপনার মতামত লিখুন :