রাশিদ রিয়াজ : [২] অপহরণ, পালানোর পর জোরপূর্বক ফিরিয়ে আনা ও ভীতি প্রদর্শন। গত বছর দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতৌমের বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসাইন এসব অভিযোগ এনেছিলেন। বৃহস্পতিবার অভিযোগগুলো সত্য বলে রায় দিয়েছেন বৃটিশ হাইকোর্ট। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
[৩] খবরে বলা হয়, আল-মাকতৌম দুবাইয়ের শাসকের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস-প্রেসিডেন্টও। গত বছর তার প্রাক্তন স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া তাদের দুই কন্যাকে নিয়ে দুবাই থেকে পালিয়ে বৃটেন চলে যায়। তিনি জানান, প্রাণভয়ে কন্যাদের নিয়ে দুবাই ছেড়েছেন তিনি। আল-মাকতৌমের বিরুদ্ধে নিজের কন্যাদের অপহরণ, জোরপূর্বকভাবে ধরে আনা, ভীতি প্রদর্শন ও নির্যাতনের অভিযোগে বৃটিশ আদালতে মামলা করেন। নিজের সন্তানদের দায়িত্ব চান আদালতের কাছে।
বলেন, আল-মাকতৌম তাদের দুবাইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। আট মাস আগে শুরু হওয়া উচ্চপর্যায়ের এই মামলায় বৃহস্পতিবার এক তথ্য অনুসন্ধানী রায়ে (এফএফজে) প্রিন্সেস হায়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন বৃটিশ আদালত।
[৪] আল-মাকতৌম রায়টি জনসাধারণের কাছে অপ্রকাশিত রাখতে আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। জানান, জনস্বার্থের জন্যই এই রায় দেয়া হয়েছে। তিনি আদালতের কাছে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত ও সৎ ছিলেন না বলে জানানো হয় রায়ে। এ ব্যাপারে রায় শেষে দেয়া এক বিবৃতিতে আল-মাকতৌম বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে, আমি আদালতের তথ্য-অনুসন্ধানী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারিনি। এর জন্য এমন একটি রায় প্রকাশিত হয়েছে যেটিতে কেবল একপক্ষের কথা ফুটে উঠেছে। তিনি দাবি করেন, এটি ব্যক্তিগত ব্যাপার। বলেন, আমি গণমাধ্যমকে আমাদের সন্তানের গোপনীয়তার ওপর শ্রদ্ধা রেখে বৃটেনে তাদের জীবন নিয়ে ঘাটাঘাটি না করার আহ্বান জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :