রাশিদ রিয়াজ : [২] ভারতের উগ্র হিন্দুদের মোকাবেলা করতে সেদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি। ভারতের দিল্লিতে মুসলিম বিরোধী সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) এ আহ্বান জানান। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ভারতে মুসলমানদের হত্যা করার কারণে গোটা মুসলিম বিশ্বের হৃদয় আহত হয়েছে। উগ্র হিন্দু এবং উগ্র হিন্দুদের সমর্থনকারী দলগুলোর মোকাবেলায় ভারত সরকারকে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং মুসলমান হত্যা বন্ধের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে তাদের একঘরে হয়ে পড়া ঠেকাতে হবে।
[৩] সম্প্রতি ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছে। মুসলমানদের ঘরবাড়ি ও মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম বিরোধী সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ভারত সরকার সারা দেশে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘোষণার পর থেকেই মুসলমানেরা চাপ অনুভব করছেন। নাগরিকত্ব হরণ করা হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। যদিও ভারত সরকার বলছে, এ ধরণের কোনো আশঙ্কা নেই। অনেক মুসলমানই ভয় পাচ্ছেন তারা জাতীয় পরিচয়হীন হয়ে পড়তে পারেন, কারণ তাদেরকে বিশদভাবে প্রমাণ করতে হবে যে তাদের পূর্বপুরুষেরা ভারতের অধিবাসী ছিলেন।
[৪] আসামের উদাহরণ টেনে তারা বলছেন, আসাম রাজ্যের ১৯ লাখের বেশি মানুষের নাম জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি-তে স্থান পায় নি। এর মধ্যে রয়েছে হিন্দুসহ ১২ লাখ অমুসলিম এবং ছয় লাখের বেশি মুসলমান। নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) অনুযায়ী অমুসলিমরা হয়তো সহজেই তাদের নাগরিকত্ব ফিরে পাবেন। কিন্তু মুসলমানদের পরিচয়হীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। পারসটুডে
আপনার মতামত লিখুন :