নিউজ ডেস্ক : [২] ভারতের রাজধানী দিল্লির দাঙ্গা মোকাবিলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছিলো শুরুতেই। এখন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করছেন, অনেক এলাকায় হামলাকারীদের মদত দিয়েছিল পুলিশের একাংশ। তথ্যসূত্র : আনন্দবাজার, বিবিসি।
[৩] খজুরী খাস থানার এমন এক জায়গায় গিয়েছিলো বিবিসি প্রতিবেদক। বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেদিনের হিংসার ভয়াবহ চিত্র। হামলাকারীদের মতো এক পক্ষের হয়ে আরেক পক্ষের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়ছে পোশাকধারী পুলিশের কিছু সদস্য। এ ছবি সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল আগেই। বিবিসি হিন্দির ওই রিপোর্ট দাবি করছে, সেই ঘটনা পুরোপুরি সত্যি। সেদিনের হামলায় পুলিশকর্মীদের একাংশও অংশগ্রহণ করেছিলো।
[৪] সেখানকার বাসিন্দা হিমাংশু রাঠৌরের অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সেই পুলিশই হিন্দুদের সঙ্গে মিলে মুসলিমদের পাথর ছুঁড়েছে। এখানে পাথর ছিল না। কিছুটা দূরে রাস্তা খারাপ ছিল। সেখানে নালা তৈরি হচ্ছিল। সেই জায়গা থেকেই এনে দেয়া হচ্ছিল ইট, পাথর। ইট এনে হাতে তুলে দিচ্ছিল তারা। আর বলছিল, মারো।
[৫] হিমাংশুর মতো রাস্তার ও-পারে পোড়া বাড়ি আগলে থাকা ভুরা খানের কথাতেও উঠে আসে ‘পুলিশি তৎপরতার’ কথা। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশের সঙ্গেই সে দিন আমাদের বাড়ি-দোকান জ্বালাতে এসেছিল ওরা। সব শেষ হয়ে গেল, পুলিশ শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে!’’ সে দিন কোনও রকমে ছাদে পালিয়ে এসে প্রাণে বাঁচেন ভুরা খান।
বিবিসির প্রতিবেদনে গত সপ্তাহের আরও একটি ভিডিয়ো উঠে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছিল, ফয়জান নামের এক যুবক ও তাঁর জনা চারেক সঙ্গীকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন’ গাইতে বাধ্য করেছিল দিল্লি পুলিশ। দিন চারেক আগে হাসপাতালে মারা যান ফয়জান।
আপনার মতামত লিখুন :