মাসুদ আলম: [২] শনিবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যরা জেলখানা থেকেই জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। জেলখানায় থাকাকালে মিলছে দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শ। সেখানেই জঙ্গি কার্যক্রমের দিকনির্দেশনা পাচ্ছে এবিটি সদস্যরা। পরে জামিনে বেরিয়ে ফেসবুক ছাড়াও বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা এবং সদস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। জেলখানা থেকে দুর্ধর্ষ জঙ্গিরা সহচরদের বার্তা পাঠাচ্ছে। আত্মীয় পরিচয়ে বাহিরে থাকা কারাগারে থাকা দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছে।
[৩] শুক্রবার রাত থেকে গতকাল ভোর পর্যন্ত ঢাকার আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- অলিউল ইসলাম ওরফে সম্রাট ওরফে আব্দুল্লাহ, মোয়াজ্জিম মিয়া ওরফে শিহাদ ওরফে আল্লাহর গোলাম, সবুজ হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ এবাজ উদ্দিন, আরিফুল হক ওরফে আরিফ ওরফে হৃদয়, রাশিদা ওরফে হুমায়রা। অলিউল এইচএসসি পাসের পর কিছুদিন স্থানীয় মসজিদে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করেন। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রয়েছে। জেলখানায় থাকাকালীন দুর্ধর্ষ জঙ্গিদের সংস্পর্শে জঙ্গিবাদে জড়ায়। ফেসবুক ছাড়াও তিনি বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম চালু রাখেন। তিনি একটি উগ্রবাদী চ্যানেলের অ্যাডমিন হিসেবে উগ্রবাদী কার্যক্রম ও সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। জঙ্গি মাওলানা জসিমুদ্দীন রাহমানির অনুসারীদের মাধ্যমে এবিটিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি দক্ষিণ অঞ্চলের আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিলেন।
[৪ ]মোয়াজ্জিম ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমে আকৃষ্ট হয়। ধীরে ধীরে তিনি সশস্ত্র জঙ্গিবাদে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। ফেসবুকে আনাস আদনান নূর নামক ব্যক্তির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এবিটির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ম্যাসেঞ্জারে একটি উগ্রবাদী গ্রুপের তিনি অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :