বাগেরহাট প্রতিনিধি: [২] বগেহাটের মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান রানার (৪০) চোখ উপড়ে ফেলা মামলায় লিয়াকত কাজী (৪৫) নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। বুধবার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৩] এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ১৫ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে যুবলীগ নেতা রানার বড় ভাই ফারুক হাওলাদার মোরেলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওইদিন রাতে আকনকে ও বুধবার ভোরে মহারাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
[৪] রানা শেখপাড়া গ্রামের নূর আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি বারইখালী ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও যুবলীগ নেতা।
[৫] মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ঘের সংক্রান্ত শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহার নামীয় তিন আসামিকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং লিয়াকতকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
[৬] এর আগে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে বাগেরহাট-৪ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমিরুল আলম মিলনের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার শেখপাড়া বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন রানা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ