মহসীন কবির : সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ডিআরইউতে ঢাকার দুই সিটিতে ভোটার হার কম হওয়ার বিষয়ে একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুজন। ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০: বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ ও নির্বাচন মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। যমুনা টিভি ও জাগোনিউজ
উত্তর সিটিতে গড় ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং দক্ষিণে পড়েছে গড়ে ২৯ দশমিক সাত শতাংশ। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বলছে, এত কম ভোটার উপস্থিতির কারণ ভোট সুষ্ঠু হবে না এ ধরনের পূর্ব ধারণা।
লিখিত প্রতিবেদন পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ছিলেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান। আর বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. রুবায়েত ফেরদৌস।
স্বল্প ভোটার উপস্থিতির আরও বেশকিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়, নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর ভোটারদের আস্থা না থাকা (অর্থাৎ ভোট সুষ্ঠু হবে না এ ধরনের পূর্ব ধারণা)। ইভিএম সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার ও ইভিএমের ওপর আস্থা না থাকা। দলগুলোর পাল্টাপাল্টি হুমকির কারণে শঙ্কিত হয়ে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ হওয়া। পাড়া-মহল্লা ও ভোটকেন্দ্র পাহারা এবং ভোটকেন্দ্রের বাইরে সরকারদলীয় কর্মী-সমর্থকদের জটলা ও মহড়া। আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে কিছু কিছু ভোটারের ভোট না দিয়েই ফিরে যাওয়া। একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দেয়ার বিষয়টি প্রচার হওয়া।
ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে ‘ভোটকেন্দ্র না গেলেও তাদের প্রার্থী জয়ী হবেই’ এমন ধারণা বদ্ধমূল থাকা। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের মধ্যে শঙ্কা ও ‘তাদের প্রার্থী জিততে পারবে না’ এমন ধারণা সৃষ্টি হওয়া। তাছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা এবং একসঙ্গে দুইদিন ছুটি থাকাও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার অন্যতম কারণ।
আপনার মতামত লিখুন :