সাইফুর রহমান : অন্যথায় লাগাতার বিক্ষোভ শুরু করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তারা। প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ এর উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে আটকে পড়া এক হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কোনো সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তান সরকার। যার ফলে ওই শিক্ষার্থীদের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে অভিভাবকরা এই পদক্ষেপ নেন। ইয়ন
সম্প্রতি এক বৈঠকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের উপদেষ্টা জাফর মির্জাকে আতঙ্কিত অভিভাবকরা জানান, তিন দিনের মধ্যে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে আনা না হলে তারা মন্ত্রণালয় এবং চীনা দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ শুরু করতে বাধ্য হবেন।
ক্ষুব্ধ এক অভিভাবক জানান, সরকার দেশ এবং বিশ্বের বৃহৎ স্বার্থে কাজ করছে বলে টেলিভিশনে মন্ত্রীদের বক্তৃতা দেয়া সহজ। কিন্তু এতে সন্তানদের নিয়ে আমাদের উদ্বেগের অবসান হয় না। দিন দিন সংক্রমণ এবং মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের উদ্বেগের মাত্রাও সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান ওই অভিভাবক।
এদিন ইসলামাবাদের একটি স্কুলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০০ অভিভাবক অংশ নেন। বৈঠক শেষে প্রায় ১০০জন অভিভাবক প্লেকার্ড হাতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এর আগে গত সপ্তাহে লাহোর এবং করাচিতেও বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা। এসব বিক্ষোভ থেকে ‘শেইম অন দ্য গভর্ণমেন্ট’, ‘ব্রিং আওয়ার কিডজ ব্যাক’সহ আরো বেশ কিছু স্লোগান ওঠে।
তবে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং প্রবাসীকল্যানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের চেয়ে চীনের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ এবং অন্যান্য সুবিধাদি বেশ উন্নত। দেশে ফিরে আসা শিক্ষার্থীদের দেশে বিশেষ পর্যবেক্ষনে রাখার ব্যবস্থাও নেই। এসময় অভিভাবকরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে হট্টগোল শুরু করেন এবং মন্ত্রীদের বক্তব্য চলাকারে মাইক্রোফোনও কেড়ে নেন।
আপনার মতামত লিখুন :