শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী আটদিন পর মুক্ত ◈ ইউনূসের অবস্থান চীনের কৌশলগত কাঠামোকে আরও জোরদার করবে ◈ বাংলাদেশে স্টারলিংক ডিজিটাল উল্লম্ফন নাকি সার্বভৌমত্বের বাণিজ্য! ◈ স্থগিত হ‌লো সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ ফুটবল ◈ ঝটিকা মিছিল বিরোধী অভিযান,ডিবির জালে ধরা ১১ ◈ ঢাকা দক্ষিণ সিটির কর্মকর্তা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার ◈ ‘কাশ্মীরের হামলার পেছনে যারা আছে, তাদের কল্পনারও বাইরে শাস্তি দেওয়া হবে’ ◈ চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে: খাদ্য উপদেষ্টা ◈ সাধারণ কাজ করা বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়বে না সরকার ◈ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নোটিশ জারি পাকিস্তানের: এএনআই'র প্রতিবেদন

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০২:০৭ রাত
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০২:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্কুল ঘর যমুনা গর্ভে, পাঠদান চলছে মাছের বাজারে

ডেস্ক রিপোর্ট : জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে খোলাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীনের পর মাছের বাজারে চলছে পাঠদান। ছবি: ইত্তেফাক
গত বছর বন্যায় যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে (ওয়াস আউট) জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৩৬ নং খোলাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৩৪ সালে স্থাপন করা বিদ্যালয়টি চিকাজানী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে বাজারের মাছ বিক্রির টিন শেড ঘরে। ইত্তেফাক

সরেজমিনে যমুনা নদীর ধারে বাজারের প্রাচীর বিহীন টিনসেড ঘরে ক্লাস করছে শিশুরা। ক্লাস শেষে শিক্ষকরা ছোনের কুঁড়েঘরে বসে দাপ্তরিক কাজ সেরে নিচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক মরিয়ম কাউছার জানালেন, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৪৩ জন, শিক্ষক ৯ জন। একটি টিন শেডে এক সাথে ৩টা ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শিক্ষকদের বসার জায়গা ও কোনো শৌচাগার নেই।

দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আরিফা, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রমিছা, শায়লার অভিযোগ, আমাদের স্কুল নেই, টয়লেট নেই। অন্যের বাড়িতে যেতে হয়। আমাদের কষ্ট হচ্ছে।

জানা গেলো, বিদ্যালয়টির নৈশ প্রহরী মিস্টার আলী ১৫ শতাংশ জমি দান করেছেন। পাশেই একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল থাকায় দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এদিকে অভিভাবকরা সন্তানদের নদীর কিনারে পড়তে পাঠানোয় আগ্রহী নন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিন বলেন, দান করা জমিতে বিল্ডিং হবেনা। কিন্তু দুর্যোগকালীন সময়ে পাঠদান চালু রাখতে একটি টিন শেড ঘর তোলার বরাদ্দ দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া বলেন, বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির নামে জমি পাওয়া গেছে। দলিলপত্র আমাদের হাতে এলে জরুরি ফান্ড থেকে নতুন ঘর করে অনন্ত ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক অধিদপ্তরে কথা বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়