শিরোনাম
◈ অনুশোচনা নেই আওয়ামী লীগে, অপেক্ষা অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হওয়ার ◈ (১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ ওয়েটিং লাউঞ্জ উদ্বোধন করলেম প্রধান উপদেষ্টা ◈ বার বার ফ্যাসিস্ট বলা আমি পছন্দ করি না, কারণ এরাওতো আমাদের পরিবারের সদস্য: লন্ডনে জামায়াতের আমীর ◈ স্থানীয়রা আটক করল সাবেক এমপিকে, এরপর যা ঘটল ◈ মায়ের সঙ্গে যাচ্ছিল শিশুটি, হঠাৎ ভেঙে পড়ল দেয়াল(ভিডিও) ◈ তিন দিনের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসবে ◈ ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শিল্পপতিকে জবাই করেন পরকীয়া প্রেমিকা রুমা: পুলিশ (ভিডিও) ◈ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব, এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই: উপদেষ্টা নাহিদ (ভিডিও) ◈ ফ্যাসিবাদের মূল উৎপাটন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবো :  শহীদ আব্দুল্লাহর জানাজায় হাসনাত আব্দুল্লাহ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৯ সকাল
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৭:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামীকাল

ফজলুল হক পাভেল, জাককানইবি প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২০ আগামীকাল বুধবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কনফারেন্স কক্ষে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ। শিক্ষকদের ১৫ সদস্যের এই কমিটির নির্বাচনে ১২টি পদে সরাসরি ভোট গ্রহণ হবে। একই সাথে তিনটি পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন ৩জন।

এতে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. বিজয় ভূষণ দাস। এছাড়া সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন- মোহাম্মদ ইরফান আজীজ, তন্বী সাহা, ড. জিল্লুর রহমান পল ও আরিফ আহমেদ।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২০২ জন। শিক্ষক সমিতি নির্বাচন-২০২০ এ বিএনপি পন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল অংশগ্রহণ না করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে মূলত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে।

আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু-নীলদল এক প্যানেলে নির্বাচনে আসেনি। তাই আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন শিক্ষক। যাদের একজন শিক্ষক সমিতির বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আমিন ও অন্যজন বঙ্গবন্ধু-নীল দলের সহ-সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু নীলদলের সাধারণ সদস্য রায়হানা আকতার।

সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক যাদের একজন শিক্ষক সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাদা আহসান হাবীব ও অন্যজন শিক্ষক সমিতি বিদায়ী কমিটির সদস্য কল্যাণাংশু নাহা।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোঃ নকিবুল হাসান খান ও ড.তুষার কান্তি সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- নীলা সাহা ও কাজী মাহমুদুল হাসান। শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ ও ড. সেলিম আল মামুন , ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে লড়ছেন- বিজয় চন্দ্র দাস ও মোঃ রাকিবুল ইসলাম ।

যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আসিফ ইকবাল আরিফ। কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রহল্লাদ চন্দ্র দাস এবং দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন- মোঃ মাজহারুল হোসেন তোকদার ।

এছাড়া ৬ জন সাধারণ সদস্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে রয়েছেন- আল জাবির, বিজয় কর্মকার, মোঃ রিয়াদ হাসান, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. মোঃ সুজন আলী, তানিয়া আফরিন তন্বী।

প্রার্থীরা শেষ সময়ে এসে নির্বাচনে জয়ী হতে চালাচ্ছেন প্রচারণা। তাদের বক্তব্যে উঠে আসছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা।

এ বিষয়ে সভাপতি পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া তিন প্রার্থী তাদের ইশতেহার অনুযায়ী বিভিন্ন আশ্বাস দেন।

তাদের মধ্যে মোঃ রফিকুল আমিন বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়কে গতিশীল করতে, শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ করবো। যেখানে শিক্ষকরা ক্লাসে থাকবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে। পাবে গবেষণার পরিবেশ ও ব্যবস্থা। সর্বোপরি একটি স্বচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় গড়তেই কাজ করবো সকলকে নিয়ে।

মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে কাজ করবো।সেই সাথে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে যাবো। যেখানে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষকদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহযোগিতা সৃষ্টিতে কাজ করবো যার ফল পাবে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়।

রায়হানা আক্তার বলেন- নারী হয়ে কেবল নারীবান্ধব কাজ করবো এমনটি নয়। আমার কাজে উপকৃত হবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমি একজন শিক্ষক প্রতিনিধি হয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের মান উন্নয়নে কাজ করতে চাই।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বী শাহজাদা আহসান হাবীব খান বলেন- শিক্ষকদের অধিকার আদায় ও শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর রাখতে কাজ করবো। যেখানে উপকৃত হবে বিশ্ববিদ্যালয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে কাজ করে যাবো।বিশ্ববিদ্যালয়কে জ্ঞানের উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত করতে গবেষণা ক্ষেত্রে জোড় দেয়ার চেষ্টা করবো।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আরেক প্রার্থী কল্যাণাংশু নাহা বলেন- নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমার প্রতিদ্বন্দী একজন। আমি সবার জন্যেই ভোট চাই। কেননা একা সব পরিবর্তন বা সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় । আমি সকলকে নিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত ও শিক্ষকদের অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই।

নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. বিজয় ভূষণ দাস বলেন- আশা করি উৎসব মুখোর পরিবেশেই শিক্ষকদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহনের সকল আয়োজন আমরা সম্পন্ন করেছি ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়