নিউজ ডেস্ক : বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংয়ের জন্য বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান কুয়াকুয়ারেলি সাইমন্ডস (কিউএস)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানের ২০১২ সালের জরিপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক অবস্থান ছিলো ৬০১তম। ২০২০ সালে এসে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৮০১তম। অর্থাৎ আট বছরের ব্যবধানে কিউএস র্যাংকিংয়ে ২০০ ধাপ অবনমন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বনিক বার্তা
গবেষণা, উদ্ভাবন ও সমাজের ওপর প্রভাব—বিজ্ঞান গবেষণায় এ তিনটি বিষয়কে ভিত্তি ধরে শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে স্পেনের সিমাগো ল্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্কপাস। সিমাগো ইনস্টিটিউশনস র্যাংকিংস (এসআইআর) নামে নিয়মিত প্রকাশিত এ জরিপে ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বৈশ্বিক অবস্থান ছিলো ৭২৫তম। তবে এসআইআর ২০১৯-এ বুয়েটের অবস্থান দাঁড়ায় ৭৫৬তম। সে হিসাবে সাত বছরের ব্যবধানে ৩১ ধাপ অবনমন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির।
শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট নয়; মানের দিক থেকে কয়েক বছর ধরে নিম্নগামী দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। কিউএস, টাইমস ও স্কপাসের মতো স্বীকৃত বৈশ্বিক র্যাংকিংগুলোয় ক্রমান্বয়ে নিচের দিকে নামছে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থান। যদিও ২০০৯-১৮ সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে নেয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্প হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)। দেশের উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের নামে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সূচকে দেশের উচ্চশিক্ষার মান তেমন বাড়েনি; বরং কয়েকটি সূচকে কমেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেও বেকার থাকছে গ্র্যাজুয়েটদের বড় অংশ। শিক্ষকদের শিক্ষকতার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন খোদ শিক্ষার্থীরাই। গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান খুবই নাজুক। সব মিলিয়ে গত এক দশকে মানের দিক থেকে দেশের উচ্চশিক্ষা খাতের তেমন কোনো অর্জন নেই।
হেকেপের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, হেকেপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোয় একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। তবে মানের বিষয়টি তো একদিনে হবে না। হেকেপের মাধ্যমে ৪-৫ কোটি টাকা মূল্যের যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে। সমস্যা হচ্ছে, শিক্ষকরা এসব যন্ত্র বা ল্যাবের সঠিক ব্যবহার করছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সুপারভিশন না থাকায় এসব ল্যাব ও যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
জানা যায়, ২০০৯ সালে উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। কয়েক দফায় সংশোধিত এ প্রকল্প শেষ হয় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। এক দশক মেয়াদের এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১ হাজার ৫০৮ কোটি ২ লাখ ও সরকার দেয় ২১৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি রাউন্ডে ৪৪২টি সাব-প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে তিনটি বাতিল করা হয়। হেকেপের অর্থ ব্যয়ে অন্যতম খাত ছিল একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ড (এআইএফ)। এর আওতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, শ্রেণীকক্ষ সংস্কার, গ্রন্থাগার আধুনিকায়নসহ শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নমূলক কাজে অর্থ ব্যয় করা হয়।
হেকেপের শেষের দিকে প্রকল্প পরিচালক ছিলেন ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত। তিনি বলেন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলসহ (আইকিউএসি) হেকেপের আওতায় প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ল্যাব ও যন্ত্রপাতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেইনটেন্যান্স করার কথা। এখন এ বিষয়ে ইউজিসি ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ভালো বলতে পারবে। তবে হেকেপের মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষার কতটুকু মানোন্নয়ন হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান, শিক্ষকদের দক্ষতা, শিক্ষার্থী ও গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থান ও চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানতে হেকেপের এআইএফের সহযোগিতাপ্রাপ্ত ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর জরিপ চালায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)। দুই ভাগে পরিচালিত জরিপের এক ভাগে স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাক্ষাত্কার নেয়া হয়। এতে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দেড় হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। ওই জরিপে শিক্ষকদের মান বিষয়ে বেশকিছু প্রশ্ন করা হয় শিক্ষার্থীদের। সেখানে দেখা যায়, জটিল ধারণা বা তত্ত্বকে সহজ করে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের দক্ষতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মাত্র ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকের পারফরম্যান্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মাত্র ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। মাত্র ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী জানান, তাদের শিক্ষকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারেন। যন্ত্রপাতি ব্যবহার ও টিচিং-লার্নিং মেথড অনুসরণের ক্ষেত্রে শিক্ষকের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মাত্র ৩০-৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী। নিজ নিজ বিভাগের শিক্ষকতার মানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন মাত্র ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী।
অন্য ভাগে জরিপ পরিচালিত হয় স্নাতক ডিগ্রিধারীদের ওপর। এতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক সম্পন্নকারী প্রায় এক হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের কর্মসংস্থানের হার ৪৪ শতাংশ, যেখানে পাবলিকে এ হার ৩২ শতাংশ। সে হিসাবে গ্রাজুয়েশনের দুই বছর পরও বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বেকার থাকছেন।
হেকেপের আরেকটি উদ্যোগ আইকিউএসি। প্রকল্পের আওতায় ৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইকিউএসি চালু করা হয়। হেকেপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব অর্থায়নে এর কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন বন্ধ রয়েছে আইকিউএসি কার্যক্রম। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে হেকেপের সহযোগিতায় ২০১৭ সালে আইকিউএসি প্রতিষ্ঠা করা হয়। যদিও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হেকেপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে না।
হেকেপের আওতায় বিশ্বের উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর লেকচার ও গবেষণার তথ্য সরাসরি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। এজন্য বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক (বিডিরেন) তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। এ নেটওয়ার্কের আওতায় ট্রান্স-ইউরেশিয়া ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (টিইআইএন) মাধ্যমে বিশ্বের ৯৯টি দেশের শিক্ষা ও গবেষণা নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ছিলো। ২০১৫ সালে সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হেকেপের মেয়াদে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারেনি দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে একটি ট্রাস্ট করে পরিচালিত হচ্ছে বিডিরেন।
শিক্ষা-গবেষণা কার্যক্রম আদান-প্রদানের অত্যাধুনিক অবকাঠামো ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’। এ শ্রেণীকক্ষে বসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের অন্য যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের ক্লাসে অংশ নিতে পারবেন। একইভাবে দেশের শিক্ষকরাও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের আধুনিক এ সেবার সুযোগ করে দিতে এ পর্যন্ত দেশের ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে ইউজিসি। যদিও বিডিরেন প্রকল্পের মাধ্যমে করা এসব অবকাঠমোর সুফল পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় প্রতিষ্ঠিত অধিকাংশ ভার্চুয়াল ক্লাসরুমই থাকছে অব্যবহূত। সভা-সেমিনার কিংবা সংবাদ সম্মেলনেই সীমাবদ্ধ থাকছে ব্যয়বহুল এ অবকাঠমো।
ভার্চুয়াল ক্লাসরুম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ব্যবহার না হওয়ার অন্যতম কারণ প্রচার সমস্যা। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ আছে, তা ওখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই ঠিকমতো জানেন না। আরেকটি সমস্যা হলো ভার্চুয়াল ক্লাসরুম ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। যেমন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কোর্স পড়াবেন। তাহলে ওই কোর্সের পরীক্ষা ও ফলাফল প্রক্রিয়া বিষয়ে কোনো ধরনের নীতিমালা প্রচলিত ব্যবস্থায় নেই। তাই ভার্চুয়াল ক্লাসরুম বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এটি পরিচালনায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা গেলে এর ব্যবহার বাড়বে।
হেকেপের সহযোগিতায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে (শেকৃবি) ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সুবাদে হাতে নেয়া হয় প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রকল্প। কেনা হয় ডিজিটাল সব যন্ত্রপাতি। তবে প্রকল্প শেষে এর কোনো সুবিধাই ভোগ করতে পারেননি এখানকার শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে থাকায় যন্ত্রপাতিগুলো এখন বিকলপ্রায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুই বছর মেয়াদি ‘হেকেপ আইসিটি উইনডো-১’ প্রকল্পটি ২০১৪ সালের ১ জুন শুরু হয়। প্রকল্পটির প্রধান দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদ কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সালাউদ্দিন এম চৌধুরী। এ প্রকল্পের অধীনে কেনা হয় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ডিজিটাল যন্ত্রপাতি। এর মধ্যে ছিলো ৪০টি সিসি ক্যামেরা, একটি অনলাইন ইউপিএস, একটি ডাটাবেস সার্ভার, একটি ওয়েব সার্ভার, অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার, রেক, দুটি ডিভিআর, কানেক্টর, হার্ডডিস্ক, ১২টি অ্যাটেনডেন্স ডিভাইস, তিনটি ডোর লক, একটি কার্ড প্রিন্টার, ছয় হাজার প্রক্সিমিটি কার্ড ও চারটি সিগনেচার প্যাড। দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তালাবদ্ধ হয়ে পড়ে মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি। দীর্ঘদিন অব্যবহূত পড়ে থাকায় এসব যন্ত্রপাতি এখন বিকলপ্রায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বসানো অধিকাংশ সিসি ক্যামেরাই বিকল। প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় ক্যামেরা কন্ট্রোল ও মনিটরিং রুমে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে বাকি যন্ত্রপাতিও। তত্ত্বাবধানের কেউ নেই। সবসময় তালাবদ্ধ থাকা রুমটি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের স্টোর রুম হিসেবে ব্যবহার করছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উন্নয়ন প্রকল্প শুধু আসতেই শুনি। সুফল ভোগ করতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান ও হলগুলোয় সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নেই। প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। এ প্রকল্পের সাব-ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা ড. মো. সালাউদ্দিন এম চৌধুরী বলেন, প্রকল্প শেষে সব যন্ত্রপাতি তত্কালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহদাৎ উল্লাহ্ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন কমিউনিকেশন সেন্টারের কাছে হস্তান্তর করি। স্থান অনুযায়ী যন্ত্রগুলো বসানোও হয়েছিল। মনিটরিংয়ের জন্য প্রায় ৬০ জন শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাও করেছিলাম। এর পরও কেন এ অবস্থা সেটা আমার অজানা।
আপনার মতামত লিখুন :