শাহানুজ্জামান টিটু : মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৬ কোটি মানুষের নয়নের মনি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি ছিলো বিক্ষোভ মিছিল। এতে পুলিশ বাধা দিয়েছে, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে, কার্যালয়ের সামনে ব্যারিকেড় দিয়ে বাধা দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মনে করেছে এভাবে দমন নিপিড়ন বাধা দিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন কে বাধাগ্রস্ত করবে। জনগণের যে প্রাণের দাবি তাকে বাধাগ্রস্ত করবে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে এভাবে দমন নিপিড়ন করে কখনও ক্ষমতায় থাকা যায় না। জনগণের ন্যায্য দাবিকে কখনও নিপিড়ন করে দমন করা যায় না।
ফখরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এটা ফেব্রুয়ারি মাস, ১৯৫২ সালে এদেশের মানুষ মায়ের ভাষার জন্য নিজের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে দাবি আদায় করেছে৷
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসরকার বেআইনি, দখলদারী সরকার, জনগণের কোনো ম্যান্ডেট ছাড়া তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। একদলীয় শাসন কায়েম করতে সমস্ত দমন নিপিড়ন, নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। আজ সরকারের উপর জনগণের কোনো আস্থা নেই, আমাদের ২৫ লক্ষ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তাকেও ২ বছর ৭ দিন যাবত কারাগারে আটকে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ, আমরা তার মুক্তির মাধ্যমে সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। কিন্তু সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি আমরা আবারও বলছি বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ তাকে মুক্তি দিন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকের সমাবেশ কে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু নেতাকর্মীদের সাহসিকতার ফলে আজকের এ সমাবেশ সফল হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন করেছেন বলেই আজ তিনি কারাগারে। আমরা বলতে চাই খালেদা জিয়াকে নয় সারা বাংলাদেশ কে কারাগারে রাখা হয়েছে। আজ আইনলর শাসন নেই। মানুষ সুবিচার পায়না, সব জায়গায় মানুষের নিরাপত্তার অভাব।
মোশাররফ বলেন, টেন্ডার বাজী, চাদাবাজী, ক্যাসিনোনাজী করে দেশকে শেষ করে দিয়েছে। এই লুটেরা স্বৈরশাসকের শাসনে মানুষ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আজ দেশে সব কুছুতে পচন ধরেছে। এ থেকে এ দেশ কে মুক্ত করতে হবে। জনগণকে মুক্ত করতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এসব অর্জন করতে হলে সবার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। তার নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শত প্রতিজুলতার মাঝেও আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। আমাদেরকে খালেদা জিয়ার প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের জেলে নিক, নির্যাতন করুক গুম খুন করুক কোনো কিছুতেই প্রতিবাদ থামবে না। আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
তিনি বলেন, আজ খালেদা জিয়া নয় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা, আইনের শাসন ও জনগণ বন্দী। তার মুক্তির মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা মুক্তি পাবে। আমরা ইনশা আল্লাহ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।
আবদুল মঈণ খান বলেন, সরকার বিচার বিভাগ কে প্রভাবিত করে খালেদা জিয়াকে জামিন দিচ্ছে না। কারণ সরকার জানে খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে রাজ পথে নামলে জনগণের স্রেতে সরকার ভেসে যাবে। তাই খালেদা জিয়ার জামিন বাধাগ্রস্ত করছে। তাকে আটকে রাখছে। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠ করবো।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মায়ের মুক্তির জন্য সমবেত হয়েছে। মায়ের মুক্তির সংগ্রাম কেউ থামাতে পারে না। কোনো ভাবে বাধাগ্রস্ত করতে পারে না। মায়ের মুক্তি জনগণ, গণতন্ত্র, আইনের স্বাসন, ও স্বাধীনতার মুক্তি৷ মায়ের মুক্তির আন্দোলনের আমাদের যোগ দিয়ে মাকে মুক্ত করতে হবে।
ইকবাল সাহান মাহমুদ টুকু বলেন, আন্দোলন করতে হবে, সবাইকে একত্রিত করতে হবে প্রয়োজনে জীবন দিতে হবে। তাহলেই পারবো জেলের তালা ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে।
আপনার মতামত লিখুন :