শরীফ শাওন : সচিবালয়ের চারপাশের রাস্তায় গত বছর ১৭ ডিসেম্বর থেকে ‘নো হর্ন জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে আইন পাশ করে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করলেও বর্তমানে আর দেখা যাচ্ছে না কোন জোরালো পদক্ষেপ বা বাস্তবায়ন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জনবল সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার কথা জানান পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অভিযান পরিচালনার জন্য এই অধিদপ্তরে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট ছিল ৩ জন। হাইকোর্টের নির্দেশে আরো ৫ জন নিয়োগের কথা থাকলেও ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন ৩ জন। বর্তমানে অধিদপ্তরে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। ঢাকার মধ্যে সকল অভিযান পরিচালনায় রয়েছেন দুজন, চট্টগ্রামের জন্য ১ জন। সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুরের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হলেও ময়মনসিংহের জন্য এখনও দেওয়া হয়নি।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, কিছু বিষয়ে উচ্চ আদালত কাজের সময় বেঁধে দেন। এতে চাইলেও পরিবেশের অন্যান্য অভিযান টানা পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মাত্র দুই জন ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে পলিথিন, কালো ধোঁয়া, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণসহ সব ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রকৌশলী কাজী তামজিদ আহমেদ জানান, অভিযান পরিচালনায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে অন্তত ৫ জনের সাপোর্টিং স্টাফ, একজন পেসকার, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিদর্শক হিসেবে থাকতে হয়। এছাড়াও প্রসেস সার্ভার, পরিবহন ও চালকের প্রয়োজন। অপর এক কর্মকর্তা বলেন, অভিযান পরিচালনার পর মনিটরিং টিমের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক।
জনবল সংকট নিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের অনেক কাজ থাকলেও জনবল সংকটে চলছে সীমাবদ্ধ পরিসরে। সারাদেশে ২ হাজার জনবলের চাহিদা থাকলেও ৬শত জন নিয়ে কাজ করা কঠিন। জনপ্রশাসন বিভাগের কাছে আমরা জনবল বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাবো। বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশনায় বায়ুদূষন কমাতে ইটভাটায় অভিযান চালানো হচ্ছে, ফলে শব্দদূষনের অভিযানে ধীরগতি।
অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মোসাব্বের হোসেন জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে ডায়িং ফ্যাক্টরিগুলোতে অভিযান চালাতে গিয়ে শব্দদূষণবিরোধী অভিযান আপাতত বন্ধ রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :